এজাহার সূত্রে জানাযায় দীর্ঘ দিন হতে চিকনাগুল বাজারের পশুর হাটের ইজারা নিয়ে দুই গ্রম্নপের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। ২১ মে বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টায় চিকানাগুল বিসমিলস্নাহ রেস্টুরেন্টের সামনে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পূর্ব পাশের রাস্তার উপরে উভয় পক্ষে মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে সংঘর্ষে রূপনেয়। সংঘর্ষে ঘটনায় দুই জন আহত হয়, আহতরা হল চিকনাগুল ইউনিয়নের কহাইগড় ১মখন্ড গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে কামাল উদ্দিন(৪৪) ও কহাইগড় ২য়খন্ড কাপনাকান্দি গ্রামের ইসমাইল আলীর ছেলে বাদশা মিয়া(৩৫)। স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে হামলাকারীর কবল হতে গুরুত্ব আহত কামাল উদ্দিন ও বাদশা মিয়াকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহত দুজনের মধ্যে কামাল উদ্দিনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক। অপরদিকে ঘটনার পর কামাল উদ্দিনের ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে জৈন্ত্মাপুর মডেল থানার মামলা দায়ের করে মামলা নং ১৬, তারিখ ২১/০৫/২০। মামলার অভিযুক্তরা হলেন পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের মৃত হাজী লাল মিয়ার ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ(৫৮), একই ইউনিয়নের কহাইগড় ১মখন্ড গ্রামের মৃত আজির উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদ(২৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে জহির উদ্দিন উরফে জহির মোলস্না(৪৫), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহেদ আহমদ(২৯), মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে ইমাম উদ্দিন(৪২), মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে সাহাব উদ্দিন(৪০), মৃত মরম আলীর ছেলে আজির উদ্দিন(৫৫), উত্তর বাঘেরখাল গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে শাহেদ আহমদ(৩০), সহোদর নাসির উদ্দিন(৩২), উমনপুর গ্রামের মৃত সালেহ আহমদ উরফে ধলা মিয়ার ছেলে ইমরান আহমদ(২৮), মৃত তালেবুর রহমানের ছেলে কামরম্নজ্জামান(৪২), সহোদর সামছুজ্জামান(৪২), মৃত হাজী মকা মিয়ার ছেলে মনির হোসেন(৫৫), ঠাকুরের মাটি গ্রামের মৃত আজিজুর রহমান ফগার ছেলে নাসির উদ্দিন(৪২) সহ অজ্ঞাত ১০/১৫জনকে আসামী করা হয়। এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এজাহার ভুক্ত ২নং আসামী মামুনুর রশিদ ৫নং আসামী শাহেদ আহমদ ৬নং আসামী নাসির উদ্দিন।
জৈন্ত্মাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মারামারির ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল হতে ৩জনকে আটক করা হয়, বাদীর এজাহারের ভিত্তিত্বে মামলা রেকর্ড পূর্বক গ্রেফতার কৃতদের ২২মে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।