সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০
কানাইঘাট প্রতিনিধি :: কানাইঘাট সাতবাঁক ইউপির চাপনগর গ্রামে একটি পরিবারকে নানাভাবে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, চাপনগর গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর পুত্র সামছুদ্দিনের গ্রামের কবরস্থানের পাশে পৈত্রিক বাড়ি ও পুকুর ও খরিদা জমি রয়েছে। যা সামছুদ্দিনের পরিবার যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে আছেন।
গত ২২ এপ্রিল গ্রামের কতিপয় বেশ কিছু লোকজন সামছুদ্দিনের বসত বাড়ির পুকুরের জায়গা কবরস্থানের দাবী করে তার পুকুর পাড়ে গাছপালা নির্বিচারে কর্তন, তার ঘর-বাড়িতে হামলা করে ক্ষতিসাধন কয়েকজনকে আহত এবং পুকুরের একাংশ মাটি ভরাট করে।
এতে সামছুদ্দিন নিরুপায় হয়ে বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় ঐদিনই রাতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এলাকার মুব্বীয়ানরা বিষয়টি সালিশের মাধ্যেমে নিষ্পিত্তি করে দিবেন বলে থানা পুলিশকে আশ^স্থ করেন। এরই প্রেক্ষিতে সামছুদ্দিন থানা থেকে তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন।
কিন্তু পরবর্তীতে তার পুকুরের জায়গা দখল, গাছপালা কর্তন বাড়ি-ঘরে হামলাকারীরা গ্রাম্য সালিশ না মেনে সামছুদ্দিন সহ তার পরিবারের লোকজনকে নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসতে থাকে। সামছুদ্দিন জানিয়েছেন, আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে চাপনগর গ্রামের ঘটনার মূল হুতা শায়িক আহমদ, কলিম উল্লাহ, আজাদ, মস্তাক, ফয়জুল সহ আরো ১৫/২০ জন লাঠি-সোটা নিয়ে তার বসত বাড়িতে চড়াও হয়ে তার বসত বাড়ির দুইটি বড় গাছ এবং ছোট-বড় ২০/৩০টি গাছ কেটে ফেলে। গাছ কাটার সময় সামছুদ্দিনের ঘর ও বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ পড়ে ঘরের ক্ষতিসাধন হয়।
এ সময় সামছুদ্দিনের পরিবারের লোকজন জিম্মি হয়ে পড়েন এবং সামছুদ্দিন সহ তার এম.সি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মায়রুফা আক্তার মাহা, এবং পুত্র বধু ও দুই ছেলেকে মারধর করে তারা। এ ঘটনায় সামছুদ্দিনের মেয়ে মায়রুফা আক্তার মাহা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মায়রুফা আক্তার মাহা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গ্রামের কতিপয় লোকজন তাদের পরিবারের জিম্মি করে রেখেছে। তাদের বাড়ির জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নিচ্ছে, গাছপালা কেটে ফেলছে। এতে প্রশাসনের সহযোগিতা তারা চেয়েছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd