সিলেট ২৫শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১৩ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০
Sharing is caring!
নুরুল হক শিপু :: সিলেটের কানাইঘাটের এক কাতার প্রবাসী পুলিশ সুপারকে প্রবাস থেকে মুঠোফোনে কল করে জানালেন তার পরিবার খাদ্য সংকটে আছে। নগরীতে বাহরাইন প্রবাসীর পরিবারেরও একই অবস্থ। একজন অটোরিকশাচালক কারও কাছে না চেয়ে পুলিশ সুপারকে বললেন গোপনে তাকে খাবার দিতে। সবার আবদার পূরণ করা হলো। তাও আবার যে যেভাবে চেয়েছেন ঠিক সেভাবে।
এভাবে মানবিক কাজ করে যাওয়া ব্যক্তি সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। সিলেটে যোগদান করেন গেল বছরের ২৪ জুন। এর পর থেকে সিলেটজুড়ে বিভিন্নভাবে তার নাম আলোচিত হচ্ছে। বিভিন্ন ঘটনায় নিজের বাহিনীর সদস্যদেরও ছাড় দেননি এ কর্মকর্তা। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে সিলেটের সব উপজেলায়ই তার পা পড়েছে। তার পরিকল্পনায় প্রথমে মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার, মাইকিং এবং প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে শুরু হয় জেলা পুলিশের কার্যক্রম। এর পরই হোম কোয়ারান্টিন নিশ্চিত করা হয়। লকডাউন ঘোষণার পর পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন প্রথমে দাঁড়ান প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে। বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুরসহ যেসব স্থানে বেদে সম্প্রদায় থাকে খবর নিয়ে তাদের খাদ্যসামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। এর পরই খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের। তারই ধারাবাহিকতায় জাফলংয়ের খাসিয়াপুঞ্জি, পাথর শ্রমিক ও জেলে সম্প্রদায়ের (পুরো জেলার) পাশে দাঁড়ান এ কর্মকর্তা। গত শুক্রবার পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানতে পারেন জাফলংয়ের মণিপুরীপাড়ায় ২১টি পরিবার খাদ্য সংকটে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের খাদ্য উপহার পাঠান তিনি।
এ ছাড়া মুঠোফোন কল পেয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি সমন্বয় করছেন সিলেট জেলার ১১টি থানা এলাকায় কর্মরত অন্তত দুই হাজার পুলিশ সদস্য। এ উদ্যোগে পুলিশ যেন ‘ত্রাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আমাদের সময়কে জানান, খাদ্যসামগ্রী উপহারের প্রথম কার্যক্রমটা শুরু করেন জৈন্তাপুর থানা থেকে। তিনি এ থানায় ২শ অসহায় পরিবারের তালিকা করে থানা কম্পাউন্ডে চেয়ারে বসিয়ে, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ২শ পরিবারের হাতে তুলে দেন খাদ্যসামগ্রী।
সৌজন্যে: দৈনিক আমাদের সময়
………………………..
Design and developed by best-bd