সিলেট ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০
ছাতক প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের হাতধনালি গ্রামের এক হতদরিদ্র তোফায়েলের নাম আছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়। তবে বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন চার বছর পর।
এ তথ্য জানার পর তোফায়েলের মা, বিধবা জেসমিন আক্তার ডলি ইউপি সদস্য এমরান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চান। এ সময় ইউপি সদস্য খারাপ আচরণ করায় ওই বিধবা নারী ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্যকে জুতাপেটা করেন।
সোমবার তারাবিহ নামাজ শেষে মসজিদের সামনে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে ইউপি সদস্য দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বিধবা জেসমিন আক্তার ডলি বলেন, সরকার গরীব, অসহায় ও হতদরিদ্র লোকদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী দিচ্ছে। কিন্তু আমার ভাগ্যে কোনোকিছু জুটছে না। আমার ছেলের নামে চালের কার্ড থাকার পরও চাল না পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওই ইউপি সদস্য আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তাই আমি তাকে জুতাপেটা করেছি।
তবে ইউপি সদস্য এমরান মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০১৬ সালে তোফায়েলের নাম তালিকাভুক্ত করেছি। তার আইডি কার্ড না থাকায় বাদ পড়েছে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক অমলবাবু দাস জানান, তার নাম সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় রয়েছে। কিন্তু তার নামে সঙ্গে অন্য ব্যক্তির আইডি কার্ড সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু তার বই পাওয়া য়ায়নি।
এ ব্যাপারে ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ বলেন, ১০ টাকার চাল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ আমি পেয়েছি। এ সব অভিযোগের পর ইউএনওর নির্দেশে তালিকা যাচাই–বাছাইয়ের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকতা শাহাবুদ্দীন জানান, নামের তালিকা মোতাবেক চাল বিতরণ করা হয়। কেউ যদি নাম থাকার পর চাল না পায় তবে ডিলারশিপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd