বিশ্বনাথে পিত্রালয়ে হাছনাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২০

বিশ্বনাথে পিত্রালয়ে হাছনাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা, গ্রেফতার ৩

স্টাফ রিপোর্টার : মাকে দেখতে গিয়েছিলেন বাবার বাড়িতে। সেখানে প্রাণটাই চলে যাওয়ার উপক্রম হবে, এমনটা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি হাছনা বেগম। তার গলায় ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। শেষপর্যন্ত বেঁচে গেছেন হাছনা।

ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথের খাঁজাঞ্চী ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে। পূর্ব শত্রুতার জেরে হাছনার গলায় ছুরিকাঘাতের ঘটনার মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- খালপাড় গ্রামের মৃত হামিদ আলীর ছেলে বশির আহমদ (৫০) ও মেরাজ আলী আজর (৩৬) এবং বশিরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৫)।

বিশ্বনাথ থানার এসআই গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতারের পর আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বিশ্বনাথের খালপাড় গ্রামের মৃত আছকর আলীর মেয়ে হাছনা বেগম গত ২৩ এপ্রিল তার মাকে দেখতে পার্শ্ববর্তী স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে (খালপাড়) আসেন। তাকে চা-নাশতা দিতে ভাই গয়াছ আহমদ তখন ছোট ভাই কয়েছ মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে বলেন। তখন মনোয়ারা চা-নাশতা না দিয়ে হাছনা বেগম কেন ‘কিছুদিন পর পর বাড়িতে এসে বিরক্ত করেন’ এসব বলতে থাকেন। ওই সময় হাছনার আরেক ছোট ভাই সুমন মিয়া এ ধরনের কথাবার্তা না বলতে মনোয়ারাকে অনুরোধ করেন। এতে সুমনের সাথে মনোয়ারার তর্কবিতর্ক হয়। পরে মনোয়ারা পার্শ্বস্থ বাড়ির বশির মিয়ার নিকট এ নিয়ে বিচার দেন।

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) লুৎফুর রহমান জানান, গয়াছ আহমদ (মামলার বাদী) ও তার পরিবারের সাথে পাশের বাড়ির বশির মিয়ার পূর্ব থেকেই আক্রোশ ছিল। এ আক্রোশ কাজে লাগাতে গত ২৪ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে বশির মিয়া তার ছেলে হাসান আহমদ (১৯) ও মারজান আহমদকে (১৮) এবং স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে সাথে নিয়ে ধারালো চাকুসহ গয়াছদের বাড়িতে যান। ঘরের বারান্দায় বসে থাকা হাছনা বেগমকে তারা মারধর করেন। একপর্যায়ে বশির ও মারজান হাছনাকে জোর করে ধরে রাখেন এবং হাসান চাকু দিয়ে হাছনার গলার বাম পাশে আঘাত করে। এতে হাছনার প্রায় শ্বাসনালী পর্যন্ত গুরুতর জখম হয়।

তিনি জানান, ঘটনার পর বশিরের ভাই মেরাজ আলীসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জন জোর করে হাছনা বেগমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তারা হাসপাতালে হাছনার নাম হুসনেয়ারা উল্লেখ করে ভর্তি করেন। এছাড়া হাছনা অসাবধানতাবশত হাতে থাকা টিন দিয়ে গলা কেটেছেন বলে চিকিৎসকদের জানান। মেরাজ আলী হাছনার স্বজনদের মামলা করতে দেননি। তবে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনার খবর পাওয়ায় এ ব্যাপারে হাছনার ভাই গয়াছ আহমদ বাদী হয়ে মামলা (নং-২৪/২৯/৪/২০) করেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন


আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..