সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য বিস্তার করেছে এই ভাইরাসটি । এশিয়ার বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন।
শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দেয় তাতে ভীত না হয়ে হেল্পলাইন অথবা নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন সিলেট গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ।
তিনি বলেন কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে।
তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়। যে কোন বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
প্রধানত: আগে থেকে অসুস্থ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে। এরই মধ্যে দিয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ গোয়াইনঘাট সহ দেশবাসীকে যার যার অবস্থান থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গণসচেতনতা ও সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার আহব্বান জানান। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাহিরে না আসা ও সর্বক্ষণিক নিজ গৃহে অবস্থান করার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
তিনি বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে বলেন করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিচলিত না হয়ে, আপনার/আমার সকলের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। আমরা যদি এই মুহূর্ত থেকে একটু দায়িত্বশীল আচরণ না করি তাহলে কোন প্রকার রুলস, নিয়ম, জরিমানা, কিছুতেই আমাদের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি আমাদের রক্ষা করতে পারবে না। তাই এ কারণেই এখন থেকে আমাদের সকলের সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
করোনাভাইরাসের আক্রান্তের কোন বয়স নেই,এই ভাইরাসে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে।
তিনি আরো বলেন একজন চেনা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করা যায় করোনার সম্পর্কে আমরা এখন নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি সোশ্যাল ডিসটেন্স এর কারণে সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব এ কারণে ৩ ফুট থেকে ৬ ফুট ডিসটেন্স (দুরত্ব) থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট-বাজার অলিগলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে প্রদান, গণসচেতনতার জন্য লিফলেট প্রদান, মাইকিং, নিজ বাস গৃহে অবস্থান,বাহিরে বের হলে মাস্ক ব্যাবহার করা সহ বিভিন্ন সচেতনতার মূলক কর্মসূচি চলমান রেখেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার সকল জনসাধারণ যাতে ভালো থাকে সুস্থ থাকে তিনি তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গোয়াইনঘাট বাসীর প্রতি অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদের একটাই অনুরোধ, ‘আপনারা ঘরে থাকুন’ বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন ও নিভৃতে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করুন। স্বাস্থ্যবিধি সহ আইন মেনে চলুন। সরকারের উপর আস্থা রাখুন এবং সরকারী সিদ্ধান্ত মেনে চলুন ইনশাআল্লাহ আমরা এ মহামারী করোনা পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সক্ষম হবো।