সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীনকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা না করার অভিযোগের পর এবার ওসমানী হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার নার্সদের প্রতি অমানবিক ও নীতিবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে।
আর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রধান প্রফেসর নাসরীন আখতার। তিনি ওসমানী হাসপাতালের গাইনী ও এনেস্থলজি বিভাগের চিকিৎসকদের সাথে কর্তৃপক্ষের অমানবিক ও অপমানজনক আচরণের মর্মস্পর্শী ফিরিস্তি দিয়েছেন।
তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, হাসপাতালের পরিচালক, উপ পরিচালক, সহকারী পরিচালক তিনজন ডাক্তার হওয়ার পরও স্বগোত্রিয় ডাক্তারদের সহমর্মিতা দেখান নি। হাতে পিপিই থাকা সত্বেও ডাক্তারদের রোগ ছড়ানোর আগ পর্যন্ত পিপিই দেয়া হয়নি।
ইন্টার্নি ডাক্তার ও অন্যান্যরা কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়ার পর ওয়ান টাইম পিপিই দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত পিপিই থাকার পরও গত ১ মাস ধরে ডাক্তাররা পুরোনো পিপিই ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, চিকিৎসকদের জীবন মরণ-তাদের চিন্তা চেতনাতেই নেই, অবস্থাদৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে।
গাইনী বিভাগীয় প্রধানের এমন স্ট্যাটাসে সচেতন মহলে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন তোঘলকী কান্ডের সুষ্ঠু তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করোনাকালীন এই কঠিন সময়ে অতি জরুরী।
এ ব্যাপারে আলাপকালে অধ্যাপক নাসরীন আখতার বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ওই নারী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে যে সব ডাক্তার-নার্সরা ওই নারীকে অপারেট করেছিলো বা চিকিৎসা দিয়েছিলো, তারা আতঙ্কিত হন। সেদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত বারবার অনুরোধ করার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়নি, বরং চরম খারাপ ব্যবহার করে।’
‘যদিও শেষ পর্যন্ত ফলাফলে প্রথমবার পরীক্ষা করা কারো করোনা ধরা পড়েনি; কিন্তু গড়িমসি, খারাপ ব্যবহারের দায় কে নেবে?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এদিকে ওই নারীর করোনা শনাক্তের পর তাকে দ্রুত শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে ৪৪ জন ডাক্তার-নার্স-স্টাফকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় বলে জানান হাসপাতালটির উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের ২২ জনের পরীক্ষায় কারো কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়নি। বাকিদেরও নমুনা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে ওই রোগীর মাধ্যমে কেউ করোনাক্রান্ত হয়েছেন কিনা।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক নারীর কোভিড-১৯ ধরা পড়ায় সবাই আতঙ্কিত হয়েছিলেন। আমাদের টেকনিশিয়ান স্বল্পতা রয়েছে। মূলত সেটা সারা দেশেই। তাই পরীক্ষার নমুনা নিতে দেরি হয়েছে। কোনো গড়িমসি থেকে নয়। কিন্তু, তারা আতঙ্কিত থাকায় এমন মনে হয়েছে তাদের।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd