কুলাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারী গুরুতর, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

প্রকাশিত: ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২০

কুলাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারী গুরুতর, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজার কুলাউড়ার পশ্চিম কানেহাত গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা হলেন মোছা: রাহেলা বেগম ও মোছা: আফরোজা আক্তার। আফরোজা আক্তারের মাথার মগজ বের হয়ে এসেছে। বুধবার (১ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই বাড়ির বাচ্চু মিয়া (৪৫) পিতা: আব্দুল মনাফ, সাদিক মিয়া (২৫) পিতা -মো বাচ্চু মিয়া, আম্বিয়া বেগম (৪২) সাহেলা বেগম (২৩) পিতা- মো বাচ্চু মিয়া, সাদনাম (১৫) পিতা মো: বাচ্চু মিয়া,আব্দুল আজিজ পিতা মৃত হাজী আব্দুস ছোবান,আব্দুল খালিক, পিতা মৃত হাজী আব্দুস ছোবান, অত্র সকাল ১১টার সময় দা লাটিসহ দেশীও অস্ত্র নিয়ে মোছা রাহেলা বেগম ও মোছা: আফরোজা আক্তারের ঘরে হামলা চালান। তারা কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে এই দুই নারীকে বেদম পেটাতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে চুলে ধরে টেনে হেছড়ে পুকুরপারের বাশ ঝাড়ের নীচে ফেলে রাখেন। এর পর হামলাকারীরা নগদ অর্থ’ মোবাইল সেট ও প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। এসময় এই সম্পত্তির একমাত্র মালিক এবং তাদের ছোট ভাই শাহেদ আহমদ বাড়িতে ছিলেন না। এই ঘটনার ২ মাস পূর্বে শাহেদ আহমদকেও তারা পিটিয়ে এক হাত ভেঙ্গে দেয়।

এদিকে ঘটনাস্থলের পাশে এসময় দুই জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। স্থানীয়রা পুলিশের এমন ভূমিকাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তারা বলছেন পুলিশ কেন এই সময় এই বাড়িতে থাকবে। আহতদের এক আত্মীয় জানান পুলিশ সদস্যরা ইচ্ছে করলে এগিয়ে এসে এই দুই নারীকে বাঁচাতে পারতেন। তাই তাদের কাছে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ রয়ে গেছে।

পরে শাহেদ আহমদ স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় এই দুই নারীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

জানা যায়,এই পাকা ঘর নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলতেছে।বিবাদীরা জোরপূর্বক প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে পাকা ঘরটি দখল করতে চাইতেছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..