অথিতি প্রতিবেদক :: সিলেটে করোনাতঙ্কে ডাক্তার রোগী দেখছেন মোবাইলে সারাদেশের সাথে সিলেটেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বন্ধ রয়েছে বিপণীবিতান, দোকানপাট, অফিসসহ নানা প্রতিষ্ঠান। এবার বেসরকারি ক্লিনিক বন্ধ রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা থেকে বিরত রয়েছেন ডাক্তাররা। তারা বলছেন, সরকার জনসাধারণের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় চেম্বার বন্ধ করে দিয়েছেন।
নগরীতে পর্যবেক্ষণ করে এমন চিত্র দেখা যায়। ডা. লুৎফুরনাহার বেগম তার চেম্বারে রোগী সোমবার পর্যন্ত দেখে বর্তমানে চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ রেখেছেন। ওই ডাক্তারের বক্তব্য নিতে ফোন দিলে অপর প্রান্তে একজন ফোন ধরে বলেন, ম্যাডাম চেম্বরে রোগী দেখছেন না। তবে ম্যাডাম ফোনে রোগী দেখছেন।
তিনি চেম্বারে আসছেন না কেনো? উত্তরে ওই ব্যক্তি জানান, সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ম্যাডাম রোগী দেখছেন না, তবে মোবাইল চিকিৎসা দিচ্ছেন। এমন চিত্র সারা সিলেটজুড়ে বিরাজ করছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত রোগ ও ধূলিকণার প্রভাবে সর্দি জ্বরে আক্রান্তরা। আক্রান্তদের অনেকে কোয়ারেন্টানের ভয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন না। তারা ভিড় করছেন ঔষধের দোকানে। এমন তথ্য দিয়েছেন অধিকাংশ ঔষধের দোকানদার। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসাধারণের পাশে থাকতে সরকারের নির্দেশনা মানছেনা বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও ডাক্তাররা।
যেখানে দেশ অনেকটা চিকিৎসকদের উপর নির্ভরশীল সেখানে ডাক্তাররা নিজেদের রক্ষায় আড়ালে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটবাসী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরে ডাক্তার দেখাতে আসা এক রোগী বলেন, ডাক্তারের চেম্বারে থাকা ব্যক্তি ডাক্তারকে ফোন দিলে সরাসরি না দেখে আগের প্রেসক্রিপশন দেখে আরো কিছু ঔষধ দিয়েছে। করোনাভাইরাসে জনসাধারণের চেয়ে ডাক্তার বেশি ভয় পেলে আমরা জনসাধারণ কোথায় যাবো? যোগ করেন তিনি।
সরকার থেকে চিকিৎসাসেবা দিতে কোনো ডাক্তার বা চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয় নি জানিয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, দেশের জনসাধারণকে চিকিৎসা দিয়ে পাশে দাঁড়াতে সরকার সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে উৎসাহিত করছে। ডাক্তার ও বন্ধ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।