মাস্ক নিয়ে তেলেসমাতি! সাইফুল আলম

প্রকাশিত: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২০

মাস্ক নিয়ে তেলেসমাতি! সাইফুল আলম

আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।সবার ধারনা মোটামুটি পরিস্কার। অনেক ধর্মেই ব্যবসা কে পবিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।তবে নিশ্চয়ই ২০ টাকার জিনিষ ২০০ টাকায় বিক্রির ব্যবসা কিংবা অধিক মুনাফার লাভে ইচ্ছাকৃত মুজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করার মত ব্যবসা পবিত্র হতে পারে না। আমাদের দেশে যেটা হর হামেশা হয়ে থাকে। যাইহোক বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ‘করোনা’ ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় এর প্রতিরোধে ব্যবহৃত উপাদান হিসেবে মাস্কের চাহিদা অনেকগুন বেরে গেছে।

আর ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পরছে।আমার কথা হল মাস্ক পড়া কি সবার জন্য দরকার? বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থার মতে আক্রান্ত ব্যক্তি নির্দিষ্ট মাস্ক পরবে তবে অন্য কেউ আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে থাকলে তাকে যেন ভাইরাস সংক্রমন করতে না পারে সেজন্য মাস্ক পরবে। কথা কিন্তু পরিস্কার অর্থাৎ ৩ জন আক্রান্ত হলে ১৬ কোটির মাস্ক পরা দরকার নেই।

ব্যবসায়ীদের কিন্তু আমরাই সুযোগ করে দেই।কারন যার দরকার নেই সেও হুজুগে কিনতে চাই।বুঝতে হবে বাজারের সরবরাহও একটা পরিসীমা থাকে। ২% লোকের জন্য সরবরাহ থাকা অবস্থায় হঠাৎ যদি ৫০% লোকের চাহিদা মিটাতে হয় তখনতো সংকট দেখা দিবেই। আরেকটা বিষয় হল বিশ্বের অনেক দেশে করোনা ছড়িয়ে পরায় মাস্ক তৈরীর কাচামালের আমদানিও কিন্তু বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কাজেই মাস্ক প্রস্তুতকারী কোম্পানীগপলোও এসব সীমাবদ্ধতার কারনে বাজারের চাহিদা মিটাতে না পারারও যথেষ্ট যুক্তি থাকতে পারে।এমনকি চীন ইতালীর মত অনেক উন্নত দেশেও মাস্ক সহ এরকম হঠাৎ চাহিদা বেরে যাওয়া পন্য চাহিদা মত সরবরাহ করতে পারছে না বিধায় ঐসব দেশের নাগরিকদের মাস্ক সহ এরকম কিছু পন্য প্রয়োজন ছাড়া না কিনতে উচ্চ পর্যায় থেকে অনুরোধ করছে।

করোনা প্রতিরোধে আতংক নয় প্রয়োজন সচেতনতা। শত শত বছর ধরেই এরকম গুরতর ভাইরাস মানষকে আক্রান্ত করেছে।করোনার চেয়েও ভয়ংকর কিছু ভাইরাস অতীতে আঘাত করেছে আল্লাহ মালিক খুব বেশি ক্ষতি করতে পারেনি,এবারও পারবে না ইনশাল্লাহ।তবে অতীতে সোশ্যাল মিডিয়া এতটা সক্রিয় ছিল না বলেই হয়তো তখন এত আতংক ছড়াতে পারেনি।কারন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে চীন জাপানে কি হয় আমরা নিমিষেই দেখতে পারি,আতংকটাও এভাবেই আসে।

সিজন পরিবর্তনের সাথে সাথে ঠান্ডা,কাশি,গলা ব্যাথা হতেই পারে তার জন্য আতংকিত হবার কিছু নেই।যেমন আজকে ঘুম থেকে উটে আমি গলা ব্যাথা অনুভব করি যেটা এখন তেমন নাই।করোনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত প্রচারনার নামে গ্লোবাল ইকনমির বারটা বাজাইতেছি কিনা সেটাও লক্ষ্য রাখা দরকার।

ণেখক : সহকারী মিডিয়া অফিসার, ওসি সিলেট জেলা ডিবি।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..