সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ | ৫ই রমজান, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২০
Sharing is caring!
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের ওসমানীনগরে জেলে সতীন্দ্র হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদঘাটন করেছে পুলিশ। স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাসের প্রেমিকদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক দেখে ফেলায় পরিকল্পিত খুনের শিকার হন সতীন্দ্র।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ দুজনের দীর্ঘ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেওয়া দুজন হলেন- ওসমানীনগর থানার মোবারকপুর গ্রামের সুশিল দাসের ছেলে গোপাল দাস (২৯) এবং একই থানার খাডুকোনা গ্রামের অতুল দাসের ছেলে স্বপন দাস (৩০)।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাসকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জবানবন্দিতে তারা জানায়, নিহতের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাসের সঙ্গে তাদের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। হত্যাকাণ্ডের আগে তাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক দেখে ফেলেন ও স্ত্রীকে মারধর করেন। তাই পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে খুন করার পর সতীন্দ্রর লাশের গলায় পাথর বেধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন কথা জানায় নিহতের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাস, সন্ধ্যা রানীর কথিত প্রেমিক উপজেলার কারিকোনা গ্রামের অতুল দাসের ছেলে স্বপন দাস ও একই ইউপির মোবারকপুর গ্রামের সুশিল দাসের ছেলে গোপাল দাস।
ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম মাইন উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রতন লাল দেব জানান, আসামিরা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এবং ঘটনার সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানায়। পরে সিলেটে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা।
………………………..
Design and developed by best-bd