সিলেট ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : জিম্বাবুয়েকে তিন ফরম্যাটেই হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। আজ বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়কে হারিয়ে এক অন্যরকম স্বাদ পেল টাইগাররা। সিরিজ বিজয়ী তিন সংস্করণেই।
এর আগে সফরের শুরুতে একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও ধোলাই হয় জিম্বাবুয়ে। টেস্ট ও ওয়ানডেতে শতভাগ সাফল্য নিয়ে দুর্দান্ত জয় দিয়ে ৪৮ রানের জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। আর শেষ দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হারে জিম্বাবুয়ে।
আজ টসে হেরে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে সবকটি ওভার খেলে ১১৯ রান করে জিম্বাবুয়ে। খেলতে নেমে মাত্র ১০ রান করে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের কাছে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন টিনাশে কামুনহুকামউই। পরে দলীয় ১২তম ওভারে নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন আফিফ হোসেন। তার বলে তুলে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত হন ক্রেইগ আরভিন। ৩৩ বলে ৩টি চারে ২৯ করেন আরভিন। শন উইলিয়ামসকে ডানা মেলতে দিলেন না মেহেদি হাসান। বেরিয়ে এসে মেহেদির ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামস। বাড়তি বাউন্সের জন্য বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেলস ফেলে দেন মুশফিক। ৮ বলে ৩ রান করে স্টাম্পড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন উইলিয়ামস।
মেহেদি হাসানের পর আঘাত হানেন সাইফ। তার বলে আলা-আমিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন সিকান্দার রাজা। যাওয়ার আগে তিনি করেন ১২ রান। এরপর জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনে আঘাত হানেন আলা-আমিন। ১ রান করা রিচমন্ড মুতুমবামিকে আউট করেন তিনি। টিনোটেন্ডা মাটুমবোদজি বেশি ভালো করতে পারেননি। মুস্তাফিজের বলে তিন রান করে নাঈমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ওয়েসলি মাধেভেরেকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজ।
এদিকে, এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করতে থাকেন ব্রেন্ডন টেইলর। ৪২ বলে তুলে নেন নিজের অর্ধশত। একটি ছয় ও পাঁচটি চার মেরে তিনি অর্ধশত রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৮ বল খেলে ৫৯ রান করেন তিনি। অন্যপ্রান্তে কার্ল মুম্বা করেন ১ রান। শেষ পর্যন্ত ১১৯ রান করে জিম্বাবুয়ে।
রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস আর মোহাম্মদ নাঈম। লিটন দাসের ব্যাটে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসের ছাপ থাকে। তামিম ইকবালের জায়গায় সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ নাঈম শেখ খেলেন আস্থার সঙ্গে। দুই তরুণের উদ্বোধনী জুটিতে সিরিজ জয়ের পথে এগোয় বাংলাদেশ। কিন্তু ৩৪ বলে ৩৩ রান সাজঘরে ফেরেন নাঈম। এরপর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। তিনিও ভালো শুরু করেন। আর আস্থার সঙ্গে খেলে নিজের অর্ধশত রান তুলে নেন লিটন।
লিটন-সৌম্যের জুটিতে জয়ের পথে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। তাদের হাত ধরেই সিরিজ জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বল খেলে লিটন করেন ৬০ রান। আর ১৬ বল খেলে সৌম্য করেন ২০ রান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd