সিলেট ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে সিলেটের আদালতের বারান্দায় উচ্চ কন্ঠে কান্না করছেন এক ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর অসহায় মা ও রিক্সা চালক বাবা। সিলেটের বিশ্বনাথে পঞ্চম শ্রেণী ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করে বিপাকে অসহায় ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পরিবার। ধর্ষক আবুল কাহার বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁও গ্রামের মৃত মরম আলীর পুত্র। ধর্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রী মা। মামলা নং- ২৬।
উক্ত মামলায় ধর্ষক আবুল কাহার (৩০)-কে গত ১ জুলাই রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে র্যাব সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল এএসপি আব্দুল খালেক এর নেতৃতে অভিযান চালিয়ে ছাতক উপজেলার ছৈলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পর দিন সোমবার গ্রেফতারকৃত কাহারকে বিশ্বনাথ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ধর্ষক কয়েক মাস কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আসে।বর্তমানে ধর্ষক কাহার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার হুমকির ভয়ে ধর্ষিতার রিক্সা চালক পিতা বাড়ি থেকে বের হবে পারছেন না। যে কোন সময় ওই ধর্ষিতার পরিবারকে বড় ধরণের একটি ক্ষতি করবে কাহার।
এদিকে , বিশ্বনাথ থানার এসআই সুলতানকে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু চেষ্টায় ব্যর্থ হয় কাহার।পরে থানার এসআই রত্না বেগম কাহারের পক্ষে এবং ধর্ষিতার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করছেন। এমন খবর শুনে ধর্ষিতার মা আদালতের বারান্ধায় অঝরে কান্না করছেন। তার কান্না দেখে লোকজন ভীড় জমান।
এ সময় ধর্ষিতার মায়ের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি কান্ন জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, কাহার আমার মেয়েকে ধর্ষণ করছে। থানা পুলিশের এসআই সুলতান আমার মেয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি। এখন আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। ধর্ষিতার মা আরও জানান, পরে থানার এসআই রত্না টাকা নিয়ে কাহারের পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছে।তিনি বলেন, আমার মেয়ে ইজ্জতের বিচার চাই। আমার মেয়েকে নষ্ট করছে কাহার।
উল্লেখ, গত ২৬ জুন বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পর ঘরের পাশে থাকা টিউবওয়েলের পাশে তাকে জোরপূর্বক পাশবিক নির্যাতন করে আবুল কাহার। পরে পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাল এলাকার মাতব্বরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd