সিলেট ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২০
জাকির হোসেন জেক্স :: সিলেট নগরীসহ জেলার সর্বত্র হিজড়াদের চাঁদাবাজির যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাদের চাঁদাবাজির কারণে অনেক জায়গায়ই লাঞ্চিত হচেছ অনেক ভদ্র পরিবার। লোক লজ্জার ভয়ে অনেক সময় চুপ করে নিরবে সয়ে যান অনেকে। আবার অনেকে প্রতিবাদও করেন। প্রতিবাদকারীদের সাথে হিজরাদের আচরণ হয়ে যায় একেবারেই অশালিন। বিশেষ করে বিয়েসহ যে কোন অনুষ্ঠান হলেই সে স্থানে তাদের আগমন হয়ে যায় এক প্রকার ক্যাডারের মত। এ সব অনুষ্ঠানে হাজার টাকার নিচে দিলেই শুরু হয় অত্যাচার।
জানা যায়, সাধারণ মানুষের সহানুভূতি, সহযোগিতা ও সহায়তার ওপর নির্ভর করেই চলে হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনযাপন। তবে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে দোকানিদের ওপর হামলে পড়া, বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠান, বাসাবাড়িতে নবজাতকের আগমনের খবরে দলবলে হাজির হয়ে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়, যৌন প্রতারণা, যে কোন বিনোদনস্থানে কাউকে জিম্মি করে অবাঞ্ছিত দৃশ্যের অবতারণা করে সর্বস্ব লোপাট করে। এমন বহু অভিযোগ হিজড়াদের কয়েকটি দলের বিরুদ্ধে রয়েছে। হিজড়ারা বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নামে বিভক্ত হয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করছেন। গেল কয়েক মাস ধরে তাদের মাত্রাতিরিক্ত অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী।
সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে, রাস্তার পাশে দোকানে, ফুটপাতের দোকানে জোড় করে তারা চাঁদাবাজি করছে। বাসাবাড়ি গিয়ে হিজড়ারা চাঁদা চাচ্ছেন, টাকা না দিলে হুমকিসহ নানা ধরনের অশ্লীল ভাষা ও অঙ্গভঙ্গি করে এক ধরনের অস্বস্থিকর চাপ সৃষ্টি করে টাকা-পয়সা দিতে বাধ্য করছেন তারা। স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের বেগে ধরে টানাটানি শুরু করে। বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয় হিজড়াদের।
এছাড়া সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দি, জাফলং ও সাদা পাথর এলাকায় হিজড়াদের একটি শক্তি শালী চক্র পর্যটকদের হয়রানী করে বড় অংকের টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। কেউ ভয়ে এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পরেননি। সম্মানের ভয়ে হিজড়াদের চাহিদা পূরণ করেন পর্যটকরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd