সিলেট ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২০
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে গিয়েও প্রেমিক ও তার পরিবারের মন গলাতে পারেননি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এক কলেজছাত্রী। দিনভর অনশনের পর গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে প্রেমিক খাইরুল ইসলাম ও তার মা দেলখোস বেগমের নামে মামলা করেছেন তিনি।
প্রেমিকের নামে মামলা হয়েছে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে। ছেলের সহযোগী হিসেবে মাকেও আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে রাতেই মা দেলখোস বেগমকে গ্রেফতার করে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ। তিনি উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের ফরাদপুর গ্রামের মৃত এমদাদুল হকের স্ত্রী। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়ের করা ওই মামলায় বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে আসামি দেলখোস বেগমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিয়ের দাবিতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে প্রেমিক খাইরুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন প্রেমিকা। ভুক্তভোগী ওই প্রেমিকা উপজেলার কৃষ্ণবাটি কালিদিঘি গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুজনই রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রেমিকা অনশনে বসায় পলাতম প্রেমিক খাইরুল ইসলাম। মামলা দায়েরের পর তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি দেলখোস বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামি পলাতক রয়েছে। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এছাড়াও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওই কলেজছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ওই কলেজছাত্রী জানিয়েছিলেন, চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক খাইরুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবার জেনে যায়। এরপর থেকেই খাইরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিক। বছর দেড়েক আগে তিনি খাইরুলের বাড়িতে গিয়ে তার মা দেলখোস বেগম এবং মামা আব্দুল কাদিরকে বিষয়টি জানান। ওই সময় তারা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন। এখন সেই সম্পর্ক অস্বীকার করছে প্রেমিক। তার পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd