ছাতকে কিশোরকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২০

ছাতকে কিশোরকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ

ছাতক প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে ছাত্রলীগের নেতার চায়ের দোকান থেকে শামীম আহমদ (১৭) নামে এক কিশোরকে মোবাইল চুরির অভিযোগে জোরপুবক তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতনের  এ ঘটনায় উপজেলাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তাকে গ্রাম্য কবিরাজের কাছে তদবিরের কথা বলে কিশোর শামীম আহমদকে একটি সিএনজি গাড়িতে তুলে নিয়ে হাত পা বেঁধে, কাপড় ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে পায়খানার রাস্তা দিয়ে তিন নরপশু তার উপর পালাত্রুমে একাধিকবার অমানবিক পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে একটি পরিত্যাক্ত কক্ষে কিশোরের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রেখে নরপশুরা দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের সেওরপাড়া গ্রামে চিক্কার হাওরে নির্জন এলাকায় এ অমানবিক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও কিশোরের পরিবার সুত্রে জানা যায়, ৩-৪ বছর যাবৎ একই ইউনিয়নের পীরপুর মল্লিকপুর গ্রামের জিল্লু মিয়ার মালিকানাধিন ধারন বাজারের চায়ের দোকানে কাজ করে আসছে  শামীম আহমদ। গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগের নেতা ছোরাব আলীর একটি মোবাইল ওই চায়ের দোকান থেকে চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ চায়ের দোকানের মালিক জিল্লু মিয়ার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা জামানত নিয়ে গত শুক্রবার শালিস বৈঠকের তারিখ নির্ধারন করে। কিন্ত ওই শালিস বৈঠকের আগের দিন গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার সময় গ্রাম্য কবিরাজের নিকট তদবির করার কথা বলে দোকানের মালিক জিল্লু মিয়ার নির্দেশে চায়ের দোকান থেকে কিশোর শামীমকে সেওরপাড়া গ্রামে মিজান ও আলী হোসেনসহ ৩ যুবক তোলে ধারন বাজারের উত্তরে চিক্কার হাওরে একটি বেত জঙ্গলে নিয়ে কিশোর শামীমের হাত-পা বেঁধে পাশবিক বর্বর নির্যাতন চালায়। অবশেষে তার দুটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে নরপশুরা । এ অমানবিক নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে শামীম অজ্ঞান হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে আবারো  ধারন বাজার সংলগś একটি পরিত্যাক্ত কক্ষে ফেলে রেখে যায় নরপশুরা। সে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ধারন বাজার সংলগনś সৈদেরগাঁও গ্রামে সিদ্দিক মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া থাকে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কৈতক হাসপাতালে ভতি করলে সেখান তার অবস্থা আশংকাজনক থাকায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভতি করা হয়েছে।

এ ঘটনার প্রায় একসপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কিশোর শামীমের হতদরিদ্র দিনমজুর পিতা আবদুর নুর জানান. এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মধ্যযুগীয় নির্মমতা তার দুটি পা কেড়ে নিয়েছে  চোর অপবাধ দিয়ে বর্বর ঘাতকেরা তার হাত-পা বেঁধে, মাথা, নখ ও পিঠে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে, পা দুমড়ে-মুচড়ে দেয়। নির্মম নির্যাতনের সময়  শামীমের করুণ আর্তচিৎকার মন গলাতে পারেনি দুর্বৃত্তদের। এমনকি এ পৈশাচিক নির্যাতনের সময় দুর্বৃত্তরা ভিডিও চিত্রও ধারন করেছিল। নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে এক পর্যায়ে স্বীকার করেছিল মোবাইল সে চুরি করেছে। কিন্ত এতেও রেহাই মেলেনি শামীমের। নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও ভয়ে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ কিশোর শামীমের পরিবার। এছাড়া এলাকাবাসি প্রতিশ্রুতি কারনে আমি  থানায়  অভিযোগ দায়ের করতে  দেরি হচ্ছে। এলাকার জনৈক ব্যক্তি জানান.স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা চায়ের দোকানের মালিক জিল্লু মিয়ার নিকট থেকে আগেই ১০ হাজার টাকা ও এখন আরও ৫০ হাজার টাকা সিকিউরিটি নিয়েছেন বিচারের নামে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ধারন বাজারে শালিস বৈঠক অনুষ্টিত হওয়ার কথা থাকলে পুলিশের ভয় শালিস বৈঠক অনুষ্টিত হয়নি। এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি চত্রু অপতৎপতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠে এলাকায়।

কিশোরের শামীম আহমদ জানান, এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন মোল্লার বাড়ী (চাইল পড়া) খাওয়ানোর কথা বলে আমাকে মিজান ও আলী হোসেন একটি সিএনজি করে নিজন জঙ্গলে নিয়ে হাত পা বেধেঁ আমার উপর অমানবিক নিযাতন করে ও ক্লান্ত হয়নি তারা। অবশেষে একাধিক বার আমার উপর নিযাতন করে  ফিলিĄ ষ্টাইলে তার দেহ শরীরে ক্ষত বিক্ষত করে দু’পা ভেঙ্গে দিযেছে। চায়ের দোকানের মালিক জিল্লু মিয়াকে খোজে পাওয়া যায়নি। এ অমানবিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন নরপশুরদের শান্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসি।ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..