সিলেট ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বৌলাই নদীতে অপরিকল্পীত ভাবে ড্রেজিংয়ের কারনে একদিকে নষ্ট হচ্ছে ফসলী জমি, নদীর পাড়ে বসবাসরত বাড়ি ঘর ও পরিবেশ পড়েছে হুমকির মূখের মুখে। অপরদিকে নদীর বুক থেকে মাটি কাটার কথা থাকলেও এখন তা করছে না। আর সরকারী ভাবে ড্রেজারে নদী খননের মাটি ও বালি বিনা মূল্যে মসজিদ, মন্দির,সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টান, নীচু জায়গা, গর্ত ভরাট করার কথা। কিন্তু বালুখেকু রাজু স্থানীয় শক্তিশালী বালু খেকো চক্রের সাথে আতাত করে নদীর পাড়ের ফসলী জমি কেটে নিচু জায়গা বরাট ও বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। এদিকে প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সরজমিনে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন,রাজু আহমেদ রাজু অটিবিএল কোম্পানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত্য প্রতিনিধি। এলাকায় বালু খেখু ড্রেজার রাজু হিসাবে পরিচিত। তিনি সরকারী নিয়ম বর্হিভূত ভাবে টাকার বিনিময়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে সরকারী ড্রেজার দিয়ে স্থানীয় শক্তিশালী বালু খেকো চক্রের সাথে আতাত করে নদীতে অপরিকল্পীত ভাবে বৌলাই নদীতে মাটি খননের কাজ করে। খননে উত্তোলিত বালু ও মাটি কৌশলে বালুখেকু চক্রের সহযোগীতায় দীর্ঘ দিন ধরেই উপজেলার দক্ষিনকুল, হোসেনপুর, সীমানা, মাহতাবপুর, পিরুজপুর, রসুলপুর, চিসকা গ্রামে মাটি ভরাটের নামে প্রতি শতাংশে ২০-৩০হাজার টাকা কোন কোন স্থানে আরো বেশী টাকা নিয়ে ভড়াট করার অভিযোগে গত দুমাস পূর্বে অটিবিএল কোম্পানী তাহিরপুরের দায়িত্ব থেকে বিতারিত করা হয়। এর পূর্বেও রাজু তাহিরপুর থানার সামনে থেকে জামালগড় পর্যন্ত(মধ্য তাহিরপুর,উজান তাহিরপুর, সূর্যেরগাও, লক্ষীপুর, ধুতমা গ্রামে) নদী খননে একেই পথ অবলম্বন করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় রাজু তা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। রাজু বিতারিত হবারপর অটিবিএল কোম্পানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত্য হন মাহতাব উদ্দিন তিনিও একেই কায়দায় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু আবারও টাকা কামানোর লোভে সম্প্রতি ফিরে এসেই বাজু বৌলাই নদী থেকে অপরিকল্পীত ভাবে বালু উত্তোলন করে ফসলী জমি,নদীর পাড়ে বসবাসরত বাড়ি ঘর ও পরিবেশ হুমকির মূখে ফেলে বালু বরাটের কাজ করছে চিসকা গ্রামে। আর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যেন দেখার কেউ নেই।
আরো জানাযায়, বর্তমানে চিসকা গ্রামের উত্তর দিকে বৌলাই নদীর বুক থেকে মাটি না কেটে নদী সংলগ্ন ফসলী জমি কেটে দক্ষিন দিকের শনি হাওরের দিকে জায়গা ভরাট করছে ও বালু মজুদ করে রাতের আধারে পাঠাচ্ছে অন্যত্র। এছাড়াও শনি হাওরের ফসলী জমি শাহদত,মির্জা আশরাফ এরশাদের ভরাটের জন্য লাখ টাকা যুক্তি করেছে ড্রেজার রাজু গোপন সূত্রে জানাযায়। আর যাদের জায়গা ভরাট ও বিক্রি করছে তাদের কাছ থেকে গোপনে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর অপরিকল্পীত ভাবে মাটির ভরাটের কারনে চাষযোগ্য জমি নষ্ট হচ্ছে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। যে এই বিষয়টি প্রকাশ করবে তার মাটি বরাট বন্ধ ও মামলাসহ নানান ভাবে ভয় দেখায়। ফলে হয়রানীর শিকার হবার আশংকায় কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আর স্থানীয় শক্তিশালা মহল ও প্রশাসন ম্যানেজ করছে অটিবিএল কোম্পানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত্য রাজু আহমেদ নিজেই তার সহযোগী বালখেখুদের নিয়ে। আব্দুস ছাত্তার,শফিক,বাচ্ছু,শামসু মিয়াসহ অনেকেই।
তারা আরো জানান,আমরা চাই সরকারি বরাদ্দের টাকা যাতে যথাযথভাবে জনকল্যাণে ব্যয় হয়। নদী খননের উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে দেখছি নদীতে কাজ শুরু করেছে টাকার বিনিময়ে। এতে খনন কাজের সততা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও এখনত নদীর বুক থেকে মাটি না কেটে নদীর ধারে ফসলী জমি কাটা হচ্ছে।
আব্দুন নূর মিয়া রহাসেনসহ স্থানীয় লোকজন বলেন, অটিবিএল কোম্পানীর প্রতিনিধি রাজু আহমেদ টাকার বিনিময়ে বালু ও মাটি দিয়ে গর্ত ও নিচু জমি বরাট করছে দালাল ও বালু খেকু চক্রের সহযোগীতায় অটিবিএল কোম্পানীর প্রতিনিধি রাজু। ফলে গরীব, অসহায়, হতদরিদ্ররা তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলার মত সাহস পায় না।
নদী সরকারী ড্রেজার কাজের অটিবিএল কোম্পানীর প্রতিনিধি রাজু আহমেদ রাজু ক্রাইম সিলেটকে বলেন, আপনারা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এমপিকে জিজ্ঞাসা করেন তারা বলবে কোন ক্ষতি হচ্ছে কি না।
এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে একাধীকবার কল দেওয়া হলেও তিনি মঠো ফোন রিসিভ করেননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd