সিলেট ১২ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে চৈত্র, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ২৯শে শাবান, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২০
Sharing is caring!
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নিহত আদিল মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মুফতি জোবায়ের আহমেদের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ধলাসিয়া এলাকায়।
মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মুফতি জোবায়ের আহমেদ জানান, চারদিন আগে ওই মাদরাসার মসজিদের মোয়াজ্জিন খায়রুল ইসলামের একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি মাদরাসা শিক্ষক জোনায়েদ আহমেদকে সন্দেহ করেন।
এসময় শিক্ষক জোনায়েদ ও মুয়াজ্জিন খায়রুলের আচরণ রহস্যজনক মনে হলে স্থানীয়দের তাদের সন্দেহ হয়। এলাকাবাসী তাদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার কথা স্বীকার করেন জোনায়েদ। পরে চাবি নিয়ে মাদরাসার সহকারী শিক্ষক জোনায়েদ আহমেদের কক্ষে থাকা ওয়াড্রপের কেবিনেট থেকে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং তাদের দুইজনকে থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
কালীগঞ্জ ওসি এ.কে.এম মিজানুল হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই শিক্ষক জোনায়েদ আহমেদ ও ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. খাইরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের এডিশনাল এস.পি পঙ্কজ দত্ত জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত রয়েছে। এ ব্যাপারে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাকে লাঞ্চিত করার প্রতিশোধ নিতেই জোনায়েদ ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের শিশুপত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
………………………..
Design and developed by best-bd