সিলেট নগরীতে গরম কাপড়ের বাজার চাঙা

প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯

সিলেট নগরীতে গরম কাপড়ের বাজার চাঙা

স্টাফ রিপোর্টার :: পৌষের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সাধারণ ও খেটে-খাওয়া মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।  ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধরা। কনকনে শীতে কাঁপছে তরুণ-তরুণীরাও।

এর মাঝেই শীত থেকে বাঁচতে সিলেটসহ সারা দেশের মানুষ ছুটছেন গরম কাপড় কিনতে। দোকানিরাও হরেক রকমের শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন। গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সরগরম ফুটপাত ও বস্ত্র বিতানগুলো।

বিশেষ করে কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, কার্ডিগান, শাল, হাত মোজা ও কানটুপি বিক্রির শীর্ষে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় খুশি দোকানিরাও।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্ট্রা, হাসান মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গরম কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছে। এসব এলাকায় গরম কাপড় কেনার জন্য মানুষের ঢল নামে। চাহিদার তুঙ্গে ছিল শিশুদের গরমের পোশাক। অনেক নারীকে দেখা গেছে নিজের এবং সন্তানদের জন্য পছন্দের সোয়েটার কিনতে।
হকারদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের ভিড়ে এসব এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সুযোগ বুঝে দোকানি ও হকাররা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতেও কার্পণ্য করেননি। স্থান ভেদে একই পণ্যের ভিন্ন ভিন্ন দাম নজরে পড়েছে।

নিম্নআয়ের মানুষের বেশি ভিড় ছিল ফুটপাতে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ভিড় করে বন্দর এলাকায়। তাদের চাহিদার শীর্ষে ছিল, জ্যাকেট, মাফলার ও কানটুপি।

কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, হঠাৎ আবহাওয়ার এ পরিবর্তনে তারা বিপাকে পড়েছেন। মাসের মাঝামাঝি হওয়ায় তাদের কাছে তেমন টাকা না থাকায় চাহিদামতো শীতের কাপড় কিনতে পারছেন না।

হঠাৎ করে শীতের এমন আক্রমণে নগরীর অভিজাত মার্কেটগুলোতেও বেড়েছে বিক্রি। আর অলিগলিতে ভ্যানে করে গরম কাপড় বিক্রির দৃশ্য চোখে পড়ে। বন্এরবাজার লাকায় হকার শাহজান মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। বিক্রি বেশি হওয়ায় তাকে খুশি দেখা যায়। গদগদ কণ্ঠে তিনি ক্রাইম সিলেটকে বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে ক্রেতার চাপ বেড়ে গেছে। সবার চাহিদা গরম কাপড়ের।’

হাসান মার্কেটের সামনে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রেতা আলম ক্রাইম সিলেটকে বলেন, দুই দিন ধরে শীতের পোশাকের চাহিদা বেশি। এ কারণে শীতের পোশাক বিক্রি করছি। গায়ের পোশাকের পাশাপাশি কম্বলের চাহিদাও বেড়েছে। বেচা-বিক্রিও ভালো বলেই জানান তিনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..