সিলেট ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটে চেক চুরির মামলায় আব্দুল ওদুদ নামে একজনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেটের বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আব্দুল ওদুদ সিলেটের খাদিম এলাকার পরগণা গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র ও নগরীর উপশহর মানিক টাওয়ার (৩য় তলা) নাজমীন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত¡াধিকারী। আদালতে জিআর মামলা নং- ২৭৪।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়- আব্দুল ওদুদ দালানের প্লাস্টিক পেইন্টের কাজ করে থাকেন। এ সুবাদে মামলার বাদী মেসার্স প্রগ্রেসিভ ইঞ্জিনিয়ার্স প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটর জাহেদ আহমদ হবিগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের ১২০০০ স্কয়ার ফিট দ্বিতলা বিশিষ্ট দালানের প্লাস্টিক পেইন্টের কাজের জন্য নাজমীন এন্টারপ্রাইজের সাথে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সাব্যস্থ করে কাজ দেন। গত ১৩ জুলাই মজুরীর অগ্রিম বাবদ আব্দুল ওদুদকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন জাহেদ আহমদ। এরপর গত ৪ নভেম্বর আব্দুল ওদুদ বাদীর অনুপস্থিতিতে বাদীর কদমতলী অফিসে আসেন। সেখানে জাহেদ আহমদকে না পেয়ে তার ম্যানেজার জাকির আহমদের সাথে কথা বলেন। তখন ম্যানেজার জাকির আহমদ তাকে আপ্যায়নের জন্য বাহিরে গেলে এ সুযোগে আব্দুল ওদুদ ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ২ লক্ষ টাকা ও প্রাইম ব্যাংক কদমতলী শাখার ৪টি চেক চুরি করে নেন। পরদিন ৫ নভেম্বর একটি চেক ব্যবহার করে আব্দুল ওদুদ ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করেন। কিন্তু জাহেদ আহমদের তৎপরতায় টাকা তুলতে পারেননি আব্দুল ওদুদ।
এ ঘটনায় ৬ নভেম্বর এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় আব্দুল ওদুদকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন জাহেদ আহমদ। থানায় মামলা নং- ১০। মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে একটি চেক (১০২ নং ৫৮৬৩৫৪২) উদ্ধার করে আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলা দায়েরের পরে আব্দুল ওদুদ হাইকোর্ট থেকে ১৯ নভেম্বর ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন পান। আগাম জামিন শেষ হলে মঙ্গলবার নিম্ন আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেটের বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এছাড়াও আব্দুল ওদুদের বিরুদ্ধে স্ট্যাম্প জালিয়াতির মামলাও রয়েছে। গত ১১ নভেম্বর জাহেদ আহমদ বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলা নং ২২০। এ মামলা আমলে নিয়ে আদালত শাহপরাণ থানাকে আসামী আব্দুল ওদুদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। শাহপরাণ থানায় মামলা নং- ৯ (১২.১১.২০১৯)। মামলায় উলেখ করা হয়- পুর্বের ঘটনায় চেক চুরির পর আব্দুল ওদুদ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ঘটনার নিষ্পত্তির চেষ্টা করে। বাদী জাহেদ আহমদও সালিশ বৈঠকে রাজি হন। পরে গত ৭ নভেম্বর সালিশ বৈঠকে বসলে আব্দুল ওদুদ স্ট্যাম্পে জাহেদ আহমদের স্বাক্ষর জাল করে মিথ্যা বয়ানে ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এতে স্টাম্পে স্বাক্ষর ও টাকার বিষয়ে অস্বীকার করে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন জাহেদ আহমদ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd