ছাতকে টোকেন বাণিজ্যে বেপরোয়া ট্রাফিক পুলিশ

প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯

ছাতকে টোকেন বাণিজ্যে বেপরোয়া ট্রাফিক পুলিশ

ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে ট্রাফিক পুলিশের টোকেনে যানবাহনে চাঁদাবাজি যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন যান্ত্রিকও অযান্ত্রিক যানবাহন থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসোহারা ভিত্তিতে চলছে চাঁদাবাজি। চাঁদার টাকা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের শীর্ষমহল পর্যন্ত ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।

এ উপজলায় রয়েছে ছাতক, নোয়ারাই, ফকিরটিলা, শিবটিলা, লাফার্জবাজার, গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট, গোবিন্দগঞ্জ সাদাপুল, গোবিন্দগঞ্জ ট্রলারঘাট, ধারণ, জালালপুর, দোলারবাজার, আলীগঞ্জ, কৈতক, জাউয়াবাজার, জাউয়া ব্রিজ, জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন, জাউয়া-কচুরগাঁও সড়কের মূখ, বড়কাপন, কামারগাঁওবাজার, জিয়াপুরবাজার, কচুরগাঁওসহ অর্ধশতাধিক সিএনজি ফোরষ্ট্রোক ষ্ট্যান্ড। লাইটেস, বাস, মিনিবাস, লেগুনা, পিকআপও ট্রাক ষ্ট্যান্ড রয়েছে আরো একাধিক। এসব ষ্ট্যান্ড চলছে ট্রাফিক পুলিশের অবৈধ টোকেনে। যানবাহন প্রতি মাসোহারা আদায় করা হয় ৮শ’ থেকে ১হাজার টাকা। বৈধ কাগজপত্র থাকলেও চালকরা টোকেনবিহীন গাড়ি চালাতে গিয়ে রশিদ ছাড়াই আদায় করা হচ্ছে বিভিন্ন অংকের টাকা। অনেক যানবাহনও চালকের লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্র না থাকলে ও এদের একমাত্র ভরসা হচ্ছে টোকেন। ট্রাফিককে টাকা না দিলে গাড়ির কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও নানা অজুহাতে মামলা ঠুকে দেয়া হয়। কাগজপত্র আপডেট আছে এমন যানবাহনকে ও অন্তত ১০কি.মি. রাস্তা পাড়ি দিতে অন্তত ৫-৭বার থামতে হচ্ছে তাদের হাতের ইশারায়। বিভিন্ন গাড়ির টোকেনের নাম ভিন্ন। নাম অনুযায়ী নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে টাকার অংক। একারণে অনেকেই এখন আর কাগজপত্র ঠিক করতে বিআরটিএ’তে যাননা। তাদের বক্তব্য, বিআরটিএ’ তে গেলেও টাকা দিতে হয়, রাস্তায় চলতেও টাকা লাগে। এজন্যে তারা টোকেনেইচলতে নিরাপদ মনে করেন। ফলে বিআরটিএ যানবাহনের বিপুল অংকের পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..