সিলেট ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পটুয়াখালীতে পরকীয়ার জেরে এমবিবিএস ডাক্তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এঘটনার পর আহত ডাক্তার মো. মনির হোসেনকে বুধবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
ডাক্তার মনির হোসেন এখন আশঙ্কা মুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন তার ভাই অ্যাডভোকেট মজনু মৃধা। এ ঘটনায় পটুয়াখালী শহর জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
আহত ডাক্তার মো. মনির হোসেন পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ডাক্তার শফিকুল ইসলামের ভাই এবং মনির শহরের প্রাইভেট স্বাস্থ্যসেবা সেন্টার হেলথ কেয়ার ক্লিনিকের মালিক বলে জানায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সদস্য। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ডাক্তার মনির হোসেন একজন সহনশীল ও ভদ্র প্রকৃতির মানুষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, পরকীয়ার জেরে স্ত্রী মম আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার কলহ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে স্ত্রী তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। পরে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই রাতেই তাকে অস্ত্রোপচার করা হয়।
মনির হোসেনের বাসার গৃহপরিচারিকা শাবান বেগম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকাল ৯টার দিকে তার বাসায় গিয়ে বাসার যাবতীয় কাজ করে দুপুর ১২টার চলে আসি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্য কী হয়েছে, তা আমি জানি না। স্যারের স্ত্রী বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকেন। সৃষ্টি নামে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের এক জুনিয়র কনসালটেন্ট জানান, শুনেছি, মনিরের স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। তারই প্রেক্ষিতে এই ঘটনার সূত্রপাত। পরকীয়ার ঘটনায় এই কাণ্ড কি না, তা আমি জানি না।’
এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের কাজীপাড়া বাসায় গিয়ে দেয়া যায়, তাদের বাসায় লোকজন নেই। তালাবদ্ধ অবস্থা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর স্ত্রী মম পলাতক রয়েছে।’
আহত মনিরের ভাই অ্যাডভোকেট মজনু মৃধা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মনির এখন সুস্থ রয়েছেন। স্ত্রী তার সাথেই আছেন।’ অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনের লাইনটি কেটে দেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd