সিলেট ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: ২০১৫ সন হতে সিলেটের অন্যতম পর্যটন ষ্পট হিসাবে খ্যাতি অর্জন করে জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার বিল। বর্তমানে বিলের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে রাস্তার পাশ্বে বিলের জায়াগা দখল করতে গড়ে উঠেছে একর পর এক দোকান।
বর্তমানে বিলের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে রাস্তার পাশ্বে বিলের জায়াগা দখল করতে গড়ে উঠছে দোকান ঘর। লালা শাপলার বিলটি পর্যটন স্পট হিসাবে ঘোষণা এবং লাল শাপলার ৪টি বিল (ডিবি বিল, কেন্দ্রী বিল, ইয়ামবিল এবং হরফকাটা বিল) গুলোর লীজ বাতিল এবং পর্যটন স্পট ঘোষনার দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রধান করা হয়। অপরদিকে ডিবির হাওর লাল শাপলার রাজ্য রক্ষা এবং অর্থনৈতিক জোন বাতিলের জন্য ২০১৬ সনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মানব বন্ধন পালন করা হয়। আন্দোলনের ফল হিসাবে এবং সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ ইউরেনিয়াম পরিপূর্ণ খনি রক্ষায় লীজ বাতিল ও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষনা করা হয়। সেই সাথে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম এর সার্বিক তত্ত¡াবধানে বিল সুরক্ষার জন্য লাল শাপলা বিল সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। একটি চক্র বিলের সৌন্দর্য্য নষ্ট করে লাল শাপলা সুরক্ষা কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে কোন প্রকার পূর্বানুমতি না নিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা শুরু করেছে।
সচেতন মহল ও পর্যটররা বলেন বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বিনষ্ট করতে এরকম দোকান স্থাপন করা হয়েছে। মুলত রাস্তার মধ্যে দাঁড়ীয়ে ৪টি বিলের যে অপরুপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যাবে তা আর পাওয়া যাবে না। সুরক্ষা কমিটির সদস্য হয়ে যদি এভাবে দোকান ঘর স্থাপন করে লাল শাপলার রাজ্য প্রাকৃতিক দৃশ্য বিনষ্ট হবে। অপরদিকে বিল গুলো সীমান্তবর্তী হওয়ায় দোকান ঘর স্থাপন করলে মাদকের ছাড়া ছড়ি বেড়ে যাবে। তারা দ্রæত সময়ের মধ্যে দোকান ঘর সরানোর জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
এ বিষয়ে লাল শাপলা বিলের সুরক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের ছায়া এবং বসার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে আমি শুনেছি। আমার জানা মতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ঘর নির্মানের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
প্রকৃতিপ্রেমী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন করিম বলেন, জরুরী কাজে ব্যাস্ত থাকায় গত ৩/৪দিন যাবত আমি শাপলা বিলের খোঁজ খবর নিতে পারিনি। দোকান ঘর নির্মানের বিষয়টি কেউই আমাকে জানায়নি। বিষয়টি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং অচিরেই অবৈধ ঘর নির্মাণের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd