স্ত্রীকে হত্যার পর প্রতিবেশীর সেফটি ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখে স্বামী!

প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০১৯

স্ত্রীকে হত্যার পর প্রতিবেশীর সেফটি ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখে স্বামী!

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করে লেট্রিনের সেফটি ট্যাংকিতে লাশ গোপন করে থানায় জিডি করেও রেহাই পেলো না স্বামী। লাশের গন্ধে টের পেয়ে গেলো প্রতিবেশীরা। স্বামীকে নিয়ে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হলো লাশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা ১১টার দিকে কালিগঞ্জের পূর্ব সোনাতলা গ্রামে। মারুফা বেগম শ্যামনগরের খাগড়াঘাট গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের মেয়ে।

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন বলেন, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোনাতলা গ্রামের কাঁলাচাঁদ কারিগরের ছেলে শহিদুল ইসলাম ১৭ নভেম্বর রবিবার থেকে স্ত্রী মারুফা বেগমকে (২৬) পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় ১৯ নভেম্বর একটি জিডি করেন। কিন্তু তার কথাবার্তায় শুরু থেকে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ তদন্ত কাজ চালাতে থাকে। এরমধ্যে বুধবার (২৭ নভেম্বর) তার বাড়ি থেকে একটু দুরের পুকুরের পাশের লেট্রিনের সেফটি ট্যাংকি থেকে উৎকট গন্ধ আসতে থাকে। প্রতিবেশীরা শহিদুল ইসলামকে বেধে রেখে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে শহিদুল ইসলামের বর্ণনা অনুযায়ী লুকিয়ে রাখা লাশ লেট্রিনের সেফটি ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করে।

ওসি দেলোয়ার হুসেন আরও জানান, শত শত মানুষের উপস্থিতিতে পরিচালিত অভিযানে সবার সামনে শহিদুল ইসলাম স্বীকার করে স্ত্রী মারুফাকে সে জিডি করার আগের দিন গলায় দড়ি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ গোপন করতে লেট্রিনের সেফটি ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখে। ঝালমুড়ি বিক্রেতা শহিদুল ইসলামের আগেও একটি স্ত্রী ছিল। দাম্পত্য কলহে দু’টি সন্তানকে নিয়ে সে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে যশোরের নাভারণে পিতার বাড়িতে চলে যায়। হত্যাকান্ডের শিকার মারুফার বেগমেরও পাঁচ বছরের একটি ছেলে আছে।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরে প্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2019
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..