সিলেট ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: হ্যা মিটিং হয়েছে আংশিক, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মতিউর রহমান আসতে পারেননি। শারিরীকভাকে তিনি অসুস্থ তাই আসতে পারেননি।,
মঙ্গলবার সন্ধা ৬টা ৩১ মিনিটে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ইউনিটের কাউন্সিল প্রসঙ্গে ঢাকায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্ধ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীসহ জেলার পাঁচ এমপির অংশ গ্রহনে পুর্ব নির্ধারিত বৈঠক হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি এ প্রতিবেদকের সাথে আলাকালে উপরোক্ত কথা বলেন।,
এদিকে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলন প্রসঙ্গে মঙ্গলবার ঢাকায় বৈঠকে বিতর্কিত এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন উপস্থিত থাকায় সেই বৈঠকে শেষ পর্য়ন্ত যোগ দেননি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমান।,
মাহবুবউল আলম হানিফ আরো বলেন, যেহেতু সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদ আছে, ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বরর কমিটি সাবমিট করা হয় এবং ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ কমিটি কেন্দ্রীয়ভাবে অনুমোদন করা হয়।
সার্বিকভাবে কমিটির মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হয় নাই, এই কমিটির মেয়াদ থাকা অবস্থায় কাউন্সিল করাটা যৌক্তিক নয় বলেও অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।,
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা সহ ১২ ইউনিটের কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর এসব কাউন্সিল ফের অদৃশ্য কারনে কেন্দ্র থেকে স্থগিত করার কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, মেয়াদ উক্তির্ণ কমিটি গুলোর কাউন্সিল করার কথা। এই কারনে যেহেতু সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির মেয়াদ আছে, সেই কাউন্সিল (কমিটি) আমাদের জাতীয় কাউন্সিলের পরে হলেও সমস্যা নাই।, তাদের মেয়াদ পুর্ণ হোক তারপর কাউন্সিল হবে।,
এখন এখানে আমরা সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার কাউন্সিল শেষ করার চেষ্টা করেছিলাম, যেহেতু জেলা কাউন্সিল হচ্ছেনা সেকারনে উপজেলা নিয়ে তাদের মধ্যে হয়ত কিছুটা সমস্যা আছে, এই সমস্যাগুলা একেবারে বসে নিরসন করে আমরা কাউন্সিলগুলা করব।
এখন আমরা বিভিন্ন জেলা পর্যায়ের কাউন্সিনের কারনে আমরা আসলে কেন্দ্রের যারা দায়িতেআব আছি তারা সময় সেভাবে দিতে পারছেনা। এখন উপজেলা লেভেলে বসে সব সবাইকে নিয়ে বসে একটা সময় নিয়ে নিয়ে এগুলো সমাধান করা, একদিন/ দুদিন থেকে সেই সময়টা মেনে আপাতত কাউন্সিল গুলাবন্ধ থাক।,
পরিকল্পনা মন্ত্রীসহ জেলার অন্যান্য এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক এমপি মতিউর রহমানের বৈঠকে অংশ গ্রহন করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সভাপতি মতিউর রহমান সাহেক অনেক বয়োজেষ্ঠ্য ও দলের জন্য ত্যাগী মানুষ, উনি আপাতত অসুস্থ, তিনি কিছুটা সুস্থ্য হলেই আমরা একটা ফলপ্রসু আলোচনা করব ও স্থগিত হওয়া বিভিন্ন ইউনিটের কাউন্সিলগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব।,
বৈঠকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, মহিলা সাংসদ শামীমা শাহরিয়ার উপস্থিত ছিলেন না জানিয়ে কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, সুনামগঞ্জ -২ ৯দিরাই-শাল্লা) আসনের সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্ত ,সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা ও মধ্যনগর ) আসনের সাংসদ মোয়াজ্জোম হোসেন রতন এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবীর ইমন ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।
প্রসঙ্গত সুনামগঞ্জ জেলার ১৪ ইউনিটের মধ্যে দুটি ইউনিটে সম্মেলন হলেও জেলার অন্য উপজেলাগুলোর সম্মেলনের তারিখ পেছানো হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের উপস্থিত রেখে সম্মেলন করার জন্য ইউনিটগুলোর সম্মেলনের তারিখ পেছানো হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ইউনিটগুলোর সম্মেলনের তারিখ পুননির্ধারণের জন্য মঙ্গলবার পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, জেলার অন্যান্য আসনের এমপি, সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ ও জেলা নেতাদের অংশগ্রহণে ঢাকায় বৈঠক আহবান করা হয়।
কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান ইতিপুর্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্ধকে জনিয়েছেন, ‘দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এমপি রতনের উপস্থিতিতে কোনো বৈঠকে অংশ গ্রহন করবেন না। ’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বৈঠকে অংশ গ্রহনে আপত্তির কারণ জানতে চাইলে জেলার দায়িত্বশীল নেতারা বলেন, ‘এমপি রতনের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকাসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় দুদক তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
তার অঢেল সম্পদ নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দুদকের তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এমপি রতনের উপস্থিতি বা অংশগ্রহণে যে কোনো ধরনের বৈঠক প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই জেলা সভাপতি আপত্তি জানিয়েছিলেন।’
মঙ্গলবার সন্ধায় এ বিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আপাতত বেশ সুস্থ্য আছি, ঢাকায় জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্ধের অংম গ্রহনে কোন বৈঠক হলে সেই বৈঠকে আমি জেলার সভাপতি হিসাবে বৈঠকে উপস্থিত না থাকার মত অসুস্থ্য আমি নই, বিতর্কিত এমপি রতন বৈঠকে থাকলে আমি সেই বৈঠকে যেতাম না, যা আগেই জানিয়েছি, দলের ভাবমুর্তি রক্ষায় আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল আছি এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক মাহববুব উল আলম হানিফ এমপি সোমবার আমাকে জানিয়েছেন মঙ্গলবারের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে, এরপর হয়ত তারা চা- চক্রে মঙ্গলবার ঢাকায় মিলিত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন জাতীর জনকের কন্যা দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান শুদ্ধি অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ না করতে, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখেই ‘দুদকে’ অভিযুক্ত এমপি রতন’ চা-চক্রে উপস্থিত থাকায় আমি মঙ্গলবার সেখানেও অংশ গ্রহন করিনি।,
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd