সিলেট ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৪৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
ছোট বেলা শুনতাম যার মন আর হুঁশ আছে তাকেই মানুষ বলে। অনেক মানুষেরই মন আছে তবে হুঁশ আছে কিনা সন্দেহ। হুঁশ থাকলেতো কোন কিছু যাচাই বাচাই না করে বিশ্বাস করত না।চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে কানে হাত না দিয়ে চিলের পিছনে দৌড়ানো মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেরেই চলেছে।
আজকে বিকাল থেকেই সিলেট সহ আশপাশের জেলাগুলোতে রিউমার চলছে সারাদেশে নাকি লবন শেষ হয়ে গেছে তাই লবনের দাম কয়েক গুন বেরে যাবে।মহুর্তেই এরকম রিউমার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।তারপর সবগুলো মুদি দোকান এমনকি বড় বড় চেইন শপের সচেতন ক্রেতাদের মধ্যে লবন কেনার হিড়িক পরে গেল! যার কোন লবন দরকার নাই সে ও ৪/৫ কেজি এমনকি ১০ কেজি লবন পর্যন্ত কিনতে দেখা গেছে। ফলে বাজারে লবনের এক ধরনের কৃত্রিম সংকট তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার সাথে সাথেই পুলিশ সুপার সিলেট মহোদয় এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট উইয়িং বিশেষ করে প্রত্যেক থানার ওসি,ইউএনও সহ ডিবি পুলিশ মাঠ পর্যায়ে বাজার মনিটরিংয়ে কাজ শুরু করে । বাজার মনিটরিং করতে গিয়ে অত্যন্ত পরিত্তাপে সাথে দেখা গেছে বাজারে লবনের কৃত্রিম সংঘটনের জন্য ভোক্তারাই বেশি দায়ী। কারন যাদের কোন লবনের দরকারই নাই তারাও ২/৩ কেজি করে লবন কিনতেছে।আমি কমার্সের ছাত্র না তাই বাজার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে খুব ধারনা নাই। তবে সামান্য যেটুকু বুঝি তাতে ধারনা বাজারে ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী পন্যের যোগান দেওয়া হয়ে থাকে। এখন ভোক্তারা যদি রিউমার বিশ্বাস করে ১ মাসের প্রয়োজনীয় পন্য ১ দিনে কিনে নেয় তখনতো বাজারে পন্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী হবেই।আর এর সুযোগ এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা নিবেই।তার জন্য দায়ী কে বুঝে নেন!
সিলেট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ‘লবনের মজুদ শেষ হয়ে গেছে,দাম বারতে পারে’ মর্মে যে রিউমার ছড়ানো হচ্ছে তাতে কান না দেওয়ার জন্য জনগনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।পাশাপাশি বাজারে পর্যাপ্ত লবন মজুদ আছে মর্মে আশ্বস্থ করা হয়েছে।তবে যারা রিউমার ছড়িয়ে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করবে তাদেরকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না মর্মে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। মুজুদদারী সহ যেসব ভোক্তা ১ কেজির উপরে লবন কিনবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটা জিনিষ মনে রাইখেন এদেশে লবনের চাহিদার সিংহভাগই দেশে প্রক্রিয়াজাতকৃত লবন দিয়ে মিঠানো হয়।
লেখকঃ সাইফুল আলম রুকন পুলিশ পরির্দশক সিলেট জেলা ডিবি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd