সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে ব্র্যাকের এক স্বাস্থ্যকর্মী নারীকে বখাটে কর্তৃক রাস্তায় উত্যক্ত করে কু-প্রস্তাব দেয়ায় ঘটনায় বখাটে ও তার দু’সহযোগিদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী।
রোববার দুপুরে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়ন পরিষদে এলাকার একাধিক সালিশ ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে ভিকটিমের সম্মতিক্রমে অভিযুক্ত বখাটে ও তার সহযোগিদের অভিভাবকের সাথে কথা বলে আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় মুক্তারপুর গ্রামে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেনন ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়া।
জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ ব্র্যাক অফিসের দোলারবাজার ইউনিয়নের সুপারভাইজার (স্বাস্থ্য) ও মুক্তারপুর গ্রামের জনৈকের স্ত্রী এবং চার সন্তানের জননী গেল ৬ নভেম্বর দিনব্যাপী ফিল্ডে অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের রাস্তায় পৌঁছা মাত্র পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই গ্রামের মৃত কচির আলীর বখাটে পুত্র আবদুল হাই তাকে পথ আগলে উত্যক্ত করে কু-প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে এসিড ঢেলে মুখসহ শরির জলসে দিবে বলেও হুমকি দেয় বখাটে।
এসময় ব্র্যাকের এ নারী কর্মী তাকে জুতা পেটা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। মুহুর্তের মধ্যে গ্রামে জুতাপেটার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে এবং আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বখাটে ও তার সহযোগি কর্তৃক মান-সম্মান এবং জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকন্ঠায় পড়েন ব্র্যাকের ওই নারী কর্মী। ঘটনার পর দিন (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বখাটে আবদুল হাই, তার সহযোগি একই গ্রামের মৃত আবদুর রউফের পুত্র সিএনজি অটো-রিকশা চালক আনোয়ার হোসেন ও মৃত আবদুল গফুরের পুত্র আবদুল মজিদ ওরফে কালা রাজাকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়ার মাধ্যমে নিস্পত্তি করে দেয়া হবে বলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আ’লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা থানা থেকে ভিকটিমকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
এর পর বিষয়টি স্থানীয় ভাবে নিস্পত্তির নামে ক’দিন নানা টালবাহানা চলতে থাকে। বখাটেদের বাঁচানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠে একটি স্বার্থান্বেষি মহল। অবশেষে সব নাটকিয়তার অবসান ঘটিয়ে নিস্পত্তির জন্য সালিশ বসছে আজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠক বসার কথা নিশ্চিত করে ভিকটিম বলেন, বখাটে ও তার সহযোগিদের বাঁচাতে একটি মহল বেশ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বখাটেরা তাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছে। ইউপি চেয়ারম্যানের দেয়া গেল রোববার দুপুরে বৈঠকের তারিখে বখাটেরা উপস্থিত হয়নি ইউনিয়ন পরিষদে।
তিনি বলেন, এবার স্থানীয় ভাবে ন্যায় বিচার না পেলে বখাটে ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনী ভাবে লড়বেন, তা না হলে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিবেন। বৈঠকের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শায়েস্তা মিয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd