সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: গোয়াইনঘাট উপজেলা ৬নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ চৌধুরী সহ এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ায় সিলেট পুলিশ সুপার বরাবরে কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বর সোমবার এই অভিযোগ দাখিল করেন একই উপজেলা ২য়খন্ড গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. বশির উদ্দিন।
অভিযোগে তিনি উলেখ করেন, ৬নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ চৌধুরী জগন্নাথপুর উপজেলার মৃত আব্দুলাহর ছেলে জিল্লুর রহমান, মৃত হাজী মদরিছ আলীর ছেলে মিনহাজ উদ্দিন, ৭ম খন্ড গ্রামের মৃত তজম্মুল আলীর ছেলে নুরুল হাসান জিল্লুর রহমান ২য় খন্ড গ্রামে কিছু জায়গা ক্রয় করে পরবর্তীতে সরকারি খাছ জায়গা বিভিন্ন নিরীহ মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক দখল করে নেন। মূলত এটি টি-বোর্ডের জায়গা। তাছাড়াও আশপাশের কৃষকদের জায়গা হুমকি দিয়ে নাম মাত্র মূল্যে ক্রয় করে নেন।
কিন্তু বশির উদ্দিনের বসত ভিটার জায়গা কিনে নিতে চাইলে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ইতোমধ্যে ৫টি মিথ্যা মামলা করা হয় এবং তাকে ঘর থেকে ডেকে এনে ভারতীয় মদ ও গাজা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি এক হাত ও এক পা ভেঙ্গে ফেলা হয়। বর্তমানে সে পঙ্গুত্ব বরণ করে ৩ মেয়ে সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। চতুর জিল্লুর রহমান ২য়খন্ড গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি জনসাধারণের চলাচলে বন্ধ করে দেয়। বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ চৌধুরী ও চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হাসান চাল চুরির মামলায় জেল খাটেন এবং মিনহাজ উদ্দিন দিবালোকে প্রকাশ্যে আব্দুল হাশিমের ছেলে কামালের হাত কেটে নেওয়ার সহ অসংখ্য মামলার দাগি আসামী হওয়ার পরেও জিল্লুর রহমানের লাটিয়াল বাহিনীর প্রধান হিসেবে তার স্বার্থ রক্ষায় আপোষের কথা বলে বিগত কয়েক মাস পূর্ব তাকে দেড় লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার কথা বলে শালিস নামায় স্বাক্ষর নেন মিনহাজসহ অন্যান্যরা।
কয়েক মাস টাকার জন্য ঘুরাঘুরি করে টাকা না পেয়ে তিনি শালিসের নাম করে যারা আপোষ নামায় স্বাক্ষর নিয়েছে তাদের মধ্যে নুরুল হাসান, মিনহাজ উদ্দিন, জিল্লুর রহমান সহ মাননীয় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রিট আদালতে গোয়াইঘাটে সিআর মামলা ২২৫/১৯ দাখিল করলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিগত ১৫ নভেম্বর তাকে শালিসের নামে ৬নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে আনা হয় এবং কোর্টের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে বশির উদ্দিন অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ চৌধুরীর নির্দেশে হাত-পা বেধে মদ, গাজা, অস্ত্র দিয়ে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখালে বাধ্য হয়ে বশির উদ্দিন লেখা বিহীন স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে। বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বশির উদ্দিন। তাই ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd