সিলেট ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
ছাতক প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে মাল্টা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানের মাটি ও পরিবেশ মাল্টা চাষে বেশ উপযোগি মনে করছেন কৃষিবিদরা। তাই কৃষকদের মাল্টা চাষে উদ্ভুদ্ধ করতে সকল ধরণের সার্বিক সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন এখানকার কৃষি বিভাগ। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিক্ষামুলক ভাবে ৩ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্চে কৃষি বিভাগ। পরিক্ষামুলক ভাবে নিজের বাড়ির পাশে পরিত্যাক্ত জমিতে দু’বছর আগে মাল্টা চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার খান ছানা। তিনি উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের হাইলকেয়ারি গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মুনসুর আলী মনসাদ মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ছাতক উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সিলেট অঞ্চলে শস্যে নিবিড়তা বৃদ্বিকরণ প্রকল্পে মাল্টা প্রদর্শনী প্লট (বারি মাল্টা-০১) এর আওতায় ৫০ শতক জমির উপর দু’বছর আগে মাল্টা বাগান করেন নাসিমা আক্তার খান ছানা। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ বাগানটি আবাদ করা হয়। বাগানে ১শ’৬০টি মাল্টার গাছ লাগানোর পর ওই বছরেই প্রায় ৩৫টি গাছে মুকুল ধরে। পরে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তার পরামর্শে কাঙ্খিত ফল পাওয়া আসায় এ মুকুলগুলো কেটে ফেলে দেয়া হয়। গাছের বয়স যখন দু’বছর তখন বাগানের ১শ’৩০টি গাছে মুকুল আসে এবং মাল্টা ধরে। এ বছর এ গাছগুলো থেকে মাল্টা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফলাফল আশানুরোপ না হলেও প্রথম বারের মতো বাড়িতে মাল্টা আবাদ করে ফল সংগ্রহ করতে পেরে বাগানের মালিক খুশি। মাল্টা বিদেশ থেকে দেশে আমদানি না করে দেশের মাটিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে মাল্টা আবাদে মাল্টার চাহিদা পূরণের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকাবাসী মাল্টা চাষের প্রদর্শনটি দেখে নিজেদের বাড়িতে বাগান করার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এ ব্যাপারে মাল্টা বাগানের মালিক নাসিমা আক্তার খান ছানা বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ি তিনি বসত বাড়ির পাশের জমিটি মাটি ভরাট করে মাল্টা চাষাবাদ করেন। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। আশানুরুপ ফলাফল না পেলেও নিজের বাড়িতে বাগান করে ফর্মালিন মুক্ত সবুজ রঙের টাটকা রসালো মাল্টা পেয়ে তিনি খুশি। এ ব্যাপারে উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, এলাকার মাটি ও পরিবেশ মাল্টা চাষের খুব উপযোগি। নাসিমা আক্তার খান ছানার বাড়িতে মাল্টা বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তিনি যাবতীয় সু-পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে উপজেলার বিভিনś বাড়ি বা জমিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাল্টা আবাদ করা হলে সাফল্য আসবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার তৌফিক হোসেন খান বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিনś এলাকায় প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা আবাদ হয়েছে। মাল্টা চাষের জন্য এলাকার মাটি খুব ভাল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে জমিতে পানি উঠার সম্ভাবনা থাকেনা, সে জায়গায় বা কোন পতিততে এ মাল্টা আবাদ করা হয়। পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে এ মাল্টাগুলো সবুজ ও হলুদ রঙের করা যায়। সিলেটের খাদিমনগর এলাকায় নার্সারিতে এসব চারা পাওয়া যায়। প্রতিটি চারার মূল্য ৫০-১শ’ টাকা। তিনি আরো বলেন, এখানের ন্যায় সারা দেশে মাল্টা আবাদ করা হলে বিদেশী মাল্টার চাহিদা থাকবে না। রসে ভরা তরতাজা এসব মাল্টা মানবদেহে পুষ্টি যোগানোর সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd