সিলেট ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নার্সের অবহেলায় প্রসূতি লিমা চৌধুরীর (২২) মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
লিমা চৌধুরী মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজোর ইউনিয়নের বরান্তর গ্রামের জিয়াউদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে ও যশোরের গাভিনা গ্রামের আল ফরিদের স্ত্রী। এ ঘটনায় প্রসূতির স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
লিমার স্বজনদের অভিযোগ, লিমা চৌধুরীর প্রসব ব্যথা শুরু হলে সোমবার নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে লিমার অপারেশন করেন গাইনি চিকিৎসক জান্নাত আফরোজ নূপুর।
এ সময় লিমা ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। বিকেল ৩টার দিকে অসুস্থ হন লিমা। শুরু হয় তার রক্তক্ষরণ। স্বজনরা বিষয়টি কর্তব্যরত নার্স শিপ্রা রাণী দাস ও আয়াকে জানালে লিমার বাবার কাছে টাকা দাবি করেন তারা। টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় রোগীকে সেবা দিতে টালবাহানা শুরু করেন নার্স ও আয়া। এ সময় টাকা নিয়ে রোগীর বাবার সঙ্গে তর্কাতর্কি করেন নার্স।
একাধিকবার বলার পরও সেবা না দিয়ে উল্টো রোগীর বাবা জিয়াউদ্দিনকে গালিগালাজ করেন নার্স। একপর্যায়ে রোগীর বাবাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিতে উদ্যত হন তিনি। পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার কল্যানী রানী ঘোষকে বিষয়টি জানান নার্স। কল্যানী রানী ওয়ার্ডে যাওয়ার আগেই লিমার মৃত্যু হয়।
রাতে রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম ও নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালে কর্মরত নার্স শিপ্রা রাণী দাসের মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও গাইনি সার্জন ডা. রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন, সিভিল সার্জন ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার জেলার বাইরে থাকায় খবর পেয়ে বিষয়টি দেখার জন্য আসি। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসা ব্যবস্থায় কারও অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। থানায় এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, নার্স ওই সময় ডিউটিতে আরেকজনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ওই সময় রোগীর অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করেছেন মৃতের স্বজনরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd