সিলেট ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: গোলাপগঞ্জের বাঘা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নির্বাচিত কমিটি নিয়ে অপপ্রচারকারী ওরা কারা? কত টাকার মিশন নিয়ে জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দের উপস্তিতিতে হওয়া কাউন্সিলের নির্বাচিত কমিটিকে বির্তকৃত করতে মাঠে নেমেছে ওরা।
দীর্ঘ ৫ দিন অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল নিয়ে অনেক অজানা তথ্য। চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ছিলো ১নং বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। ইউনিয়নের বটেরতল বাজারস্থ ক্লাসিক কমিউনিটি সেন্টারে কাউন্সিলের স্থান নির্ধারণও হয়। যথারিতি জেলা-উপজেলা থেকে আসেন নেতৃবৃন্দ। কাউন্সিলে যোগদেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুজাত আলী রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন ইসলাম কামাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমদসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু অনুষ্টান স্থলে যাবার পরই তারা বুঝতে পারেন এখানে কাউন্সিল না হওয়ার জন্য নিজেদের ভিতর ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটি চক্র কাজ করছে। তবু জেলা নেতৃবৃন্দ কাউন্সিলের প্রস্ততি নেন।
এ নিয়ে কাউন্সিল স্থলে উত্তেজনা দেখা দিলে জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ কাউন্সিল স্থগিত করে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশদেন ‘যে কাদের ইন্দনে কাউন্সিলে বিশৃংখলা হয়েছে তা তদন্ত করে ৩ দিনের মধ্যে জেলা কমিটির কাছে রিপোর্ট দেওয়ার’। তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, লুৎফুর রহমান ও রফিক মিয়াকে। কিন্তু আজও সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা হয়নি জেলা কমিটির কাছে। পরে ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলা অডিটরিয়ামে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করে সকল ভোটারদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ করে বাঘার কাউন্সিলস্থল থেকে চলে আসেন জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
২১ সেপ্টেম্বর যথারিতী গোলাপগঞ্জ উপজেলা অডিটরিয়ামের আয়োজন করা হয় ১নং বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের। সেখানে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন, জেলা পরিষদ সদস্য স্যায়িদ আহমদ সুহেদ, এডভোকেট নিমার আলি, পাখি মিয়া। শেষ পর্যন্ত পাখি মিয়াকে ছাড় দিয়ে এডভোকেট নিমার আলী তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে ভোটাগ্রহণ হয় সুহেদ ও পাখি মিয়ার মধ্যে ফলাফলে সুহেদের প্রাপ্তভোট-৯৮ এবং পাখি মিয়ার প্রাপ্ত ভোট-৪৮টি, বাতিল হয় ৩টি ভোট।
সভাপতি হিসাবে বিজয়ী ঘোষনা করা হয় স্যায়িদ আহমদ সুহেদকে। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রথম দিকে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন যথাক্রমে, ইকবাল আহমদ. মখসুছ আলম, হবিবুল রহমান, এনাম উদ্দিন, কামরান আহমদসহ মোট ৫জন। পরে ৪ জন তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে ইকবাল আহমদকে সমর্থন দিলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এভাবেই সম্পন্ন হয় ১নং বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী কাউন্সিলের। এভাবে কাউন্সিলেরবিষয়টি জানান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। কিন্তু কাউন্সিলের দুদিন পর একটি চক্র লাখ টাকার মিশন নিয়ে শুরু করে ১নং বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত কমিটি নিয়ে কাঁদা ছুড়াছোড়ি।
একটি চক্র অর্থযোগান দিতে শুরু করে কিছু চাটুকদারদের, ফলে সোস্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় নানা রকম কাল্পনিক গুঞ্জন। অনেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নব নির্বাচিত সভাপতি সুহেদকে বিব্রান্ত করে নানা রকম মিথ্যা তথ্য প্রচার করতে থাকে। অনেকে আবার সাংবাদিকতাকে নিজের ব্যবসা বলে পরিচয় দিচ্ছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চত করে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে স্যায়িদ আহমদ সুহেদ বলেন, আমি এসব বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিচ্ছি। অপপ্রচারের জবাব দিবেন এলাকার নেতাকর্মীরা। আমি কর্মের মাধ্যমে তাদের অপপ্রচারের জবাব দিবো ইনশাআল্লাহ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd