সিলেট ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
সিলেটের এক কথিত নামধারী বাউল শিল্পী নাম তার উদাসী পিংকি। যার পেশা হচ্ছে বিয়ে আর তরুণদের সাথে প্রতারণা করা। সে কোন ভাল শিল্পি নয়। বরং নাম দিয়েছে বাউল শিল্পী উদাসী পিংকি। নাম যেমন চেহরাও তেমন। আর এই চেহরা দিয়েই যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে নিচ্ছে এই কথিত শিল্পী।
সে সিলেটসহ বিভিন্ন মাজারে মাজারে ওরুসে গানের প্রগ্রামে যায়। সেখানে গিয়ে নিজেকে অভিবাহিতা বলে দাবি করে। আর তরুণদেরকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে। সেই সাথে তরুণদের মোবাইল নম্বার নিয়ে যোগাযোগ করে। সেই আলাপের মাধ্যমে শুরু হয় প্রতারণার ফাঁদ। কিছুদিন আলাপের পর দেহিক সম্পর্ক। এরপর বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ। বিয়ের কিছুদিন অতিবাহিত হলে শুরু হয় অন্য পুরুষ খোজার কাজ।
এভাবেই প্রতারণার ফাঁদে পড়েন সিলেটের গোলাপগঞ্জের এক যুবক। ওই যুবকের সাথে কিছুদিন সংসার করে তার সকল টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাকে স্বামী হিসাবে অস্বীকার করেন। পরে তার ঘর ছেড়ে চলে যান অন্য জনের ঘরে। আর গোলাপগঞ্জের এই যুবকের আগে আরো দুইজনের সাথে এমন কাজ করেন এই তরুণী।
এরপর গোলাপগঞ্জের যুবককে ছেড়ে বেছে নেন বিশ^নাথের তাজউদ্দিন নামের এক যুবককে। তাজউদ্দিনের ছিলো স্ত্রী-সন্তান মা-বাবা নিয়ে একটি সুন্দর সুখের সংসার। এই কথিত শিল্পীর প্রেমের ফাঁদে পড়ে স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ খবর নেওয়া ছেড়ে দেন তাজউদ্দিন। সঙ্গী হন কথিত শিল্পীর। তাজউদ্দিনের সব কিছু লুঠেপুঠে এখন তাকেও স্বামী হিসাবে অস্বীকার করেন। পরে তাজ উদ্দিন অনেক চেষ্টা করেও তার ঘরে রাখতে পারেননি। যেমনটা গোলাপগঞ্জের ওই যুবকের সাথে হয়েছিলো, ঠিক তেমনি হয়েছে তাজ উদ্দিনের সাথে।
এখন তাজ উদ্দিনের সংসার ছেড়ে কানাইঘাটের মন্নানের ঘরে। মন্নানের সাথে বিয়ে হয়েছে কি না তা সন্দেহজনক। তাজ উদ্দিনের কাছ থেকে আসার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়েছে। এরপর থেকেই মান্নানের সাথে আছেন বলে ক্রাইম সিলেটকে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী যুবকরা।
এই নারীর সুন্দরী চেরার আড়ালে কি না করছে তরুণী। যে ভাবে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, ঠিক তেমনি ধ্বংস হচ্ছে সিলেটের ঐতিহ্য বাউল সমাজ। এই নামধারী কথিত বাউল শিল্পি উদাসী পিংকিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার সিলেটের সকল বাউল সংঘঠনের প্রতি অনুরোধ করেছের সিলেটের বাউল ভক্তরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd