আল্লামা শুয়াইবুর রহমান বালাউটির জানাযায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০১৯

আল্লামা শুয়াইবুর রহমান বালাউটির জানাযায় মানুষের ঢল

লাখো মানুষের উপস্থিতিতে অশ্রসিক্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে নিজের হাতে প্রতিষ্ঠিত বালাউট গ্রামের হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে অন্তিম শয়ানে শায়িত হলেন প্রখ্যাত পীরে কামিল আল্লামা শুয়াইবুর রহমান বালাউটি ছাহেব। শুক্রবার বিকেল ৩টায় রতনগঞ্জ হ্যালিপ্যাড মাঠে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজ শেষে তাঁকে কবরে শায়িত করা হয়।মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৬ বছর।

জানাযার নামাজের পূর্বে আল্লামা বালাউটি ছাহেবের জীবন ও কর্মের উপর স্মৃতি চারণ এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করে অনুভূতি প্রকাশ করেন আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদসহ  আলেম-উলামা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জানাযার নামাজের ইমামতি করেন মরহুমের বড় ছেলে মাওলানা উবায়দুর রহমান।

শামসুল উলামা আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রহ) এর অন্যতম খলিফা সিলেট জালালপুর আলিয়া মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রখ্যাত পীরে কামিল আল্লামা শুয়াইবুর রহমান বালাউটি ছাহেব শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিলেটের একটি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর খরব ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত, মুরিদান, আশিকানসহ সাধারণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে দূরদূরান্ত থেকে ভক্ত অনুরাগীগণ জানাযার নামাজে অংশ নিতে জকিগঞ্জের দিকে রওয়ানা হন। শুক্রবার ভোর থেকে বালাউট গ্রামে জনস্রোত বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে প্রিয় ছাহেবকে আশেকানরা শেষ বারের মত একনজর দেখতে ভীড় জমান বাড়ীতে।

জুম্মার নামাজের পর মরদেহ নিয়ে আসা হয় হ্যালিপেড মাঠে। অসংখ্য মানুষের পদচারণায় বন্ধ ছিলো আটগ্রাম-জকিগঞ্জ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। । হ্যালিপ্যাড মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হওয়ার পর লোকজন প্রখর রোদ উপক্ষো করে সড়কে দাঁড়িয়ে জানাযার নামাজ আদায় করেন।

জানাযার নামাজের পূর্বে বক্তাগণ বলেছেন, আল্লামা শুয়াইবুর রহমান বালাউটি ছাহেব (রহ.) ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের সকল পর্যায়েই ছিলেন এক আদর্শের প্রতিকৃতি। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেদমতে তিনি সারাটি জীবন কাটিয়েছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন বহু মসজিদ মাদ্রাসা। সমাজের জন্য রেখে গেছেন অনেক কিছু। তাঁর শুণ্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..