সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা সেচ্ছাবেক লীগের সম্মেলন হয়নি দীর্ঘ ১৩ বছরেও। আর এ কারনে সংগঠনটির নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। হতাশ হয়ে পড়েছেন ত্যাগী নেতারা। সম্মেলনে মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের তাগিদ থাকলেও তা বাস্তবায়নে জেলার পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালের ১জুন। এর পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৩ বছর। কিন্তু ১৩ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেই কমিটি দিয়েই খুঁড়িয়ে চলছে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ। সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কোনো তোড়জোড় নেই বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দের। তবে কবে হবে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন এখনও বলা মুশকিল। বর্তমানে উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ দুটি ভাগে বিভক্ত। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলয়ে সেচ্ছাসেবকলীগের এক গ্রুপ ও অপর গ্রুপ যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলয়ে রয়েছেন। নতুন কমিটি গঠন না হওয়ায় একদিকে যেমন সৃষ্টি হয়নি নতুন নেতৃত্ব, অন্যদিকে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম। রাজপথে সেচ্ছাসেবকলীগের গুরুত্ব অনুধাবন করে দ্রুত উপজলো সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা করতে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১জুন সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে আনোয়ার মাহমুদ কে সভাপতি ও সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের কয়েক বছর মারা যান আনোয়ার মাহমুদ। বর্তমানে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বদরুল আলম। বর্তমানে ৬৭ সদস্য কমিটির মধ্যে অধিকাংশ নেতাকর্মী দেশের বাহিরে রয়েছেন। দলীয় পদ রয়েছে অনেকটি শুণ্য।
তৃণমূল সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা জানান, সেচ্ছাসেবক লীগকে আরো শক্তিশালী করতে হলে নতুন কমিটির বিকল্প নেই। তাদের দাবি, যারা মাঠে রাজনীতি করেন, তাদের নিয়েই যেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন করা হয়।
সিলেট জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্বনাথ উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হবে বলে তিনি জানান।
Sharing is caring!