সংবাদপত্র স্টীকার লাগানো অটোরিক্সার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান জোরদার

প্রকাশিত: ১১:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯

সংবাদপত্র স্টীকার লাগানো অটোরিক্সার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান জোরদার

সিলেট জেলার উপজেলাগুলোতে নাম্বার বিহীন অটোরিক্সা (সিএনজি) গাড়ীতে সংবাদপত্র বহন ও জাতীয় জরুরী সংবাদপত্র লাগানো স্টীকার বা সাইন আর্ট লিখিত গাড়ীগুলো আটক করতে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ট্রাফিক পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতি মধ্যে পুলিশ সুপারের নির্দেশে সিলেট জেলা ট্রাফিক পুলিশ সংবাদপত্র স্টীকার লাগানো সিএনজি গাড়ী আটক অভিযান শুরু করেছেন।

রবিবার সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, সাংবাদিক পেশার ভাবমূর্তি ক্ষন্ন করে যারা সিএনজি গাড়িতে জরুরী সংবাদপত্র পরিবহন লিখে অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এসব গাড়ি আটকের জন্য জেলার সকল থানার পুলিশ প্রশাসন ও জেলা ট্রাফিক পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

কানাইঘাটে অসংখ্য সিএনজি গাড়িতে সংবাদপত্র ষ্টিকার লাগিয়ে চালকদের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি ১৫ শত থেকে দুই হাজার টাকা মাসোহারা আদায়কারী অপ-সাংবাদিক বিভিন্ন অপ-কর্মের হোতা ফয়সাল কাদির গংদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সিলেটের সকল স্থানীয় দৈনিক ও অনেক জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর কানাইঘাট ট্রাফিক পুলিশ এসব গাড়ি আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সিএনজি স্ট্যান্ডের সকল শাখার নেতৃবৃন্দ কোন চালককে গাড়িতে সংবাদ পত্রের সুনাম ক্ষুন্ন করে গাড়ি না চালানোর জন্য নির্দেশ দেওয়ার পর গত কয়েক দিনে থেকে চালকরা তাদের গাড়ী থেকে সংবাদপত্র পরিবহনের নাম মুছে ফেলেছে।

অনেক চালক জানিয়েছেন ফয়সাল কাদির কে মাসিক ২ হাজার টাকা প্রদান করলে সে সিলেট শহর পর্যন্ত অনটেস্ট সিএনজি গাড়ী নিরাপদে চলাচলের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এই ফয়সাল কাদির সিএনজি চালকদের কাছ থেকে মাসোহারার মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর টোকেন বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় নানা অপকর্মের হোতা ফয়সাল কাদির ও তার সহযোগি কয়েকজন ভূইফোড়রা তাদের নিজস্ব ফেইসবুক পেইজে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে এবং তারা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের নিয়ে হুমকির মতো কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। তবে ফয়সাল কাদিরের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম কর্মস্থলে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহন করায় সিলেট জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি সহ সকল অপকর্মের সাথে জড়িতরা বর্তমানে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন অপকর্ম সিলেটে চলতে দেওয়া হবে না। যারা সিএনজি গাড়ীতে সংবাদপত্র পরিবহন নাম লাগিয়ে অপকর্মে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মাঠে নেমেছে। সিলেট জেলা পুলিশের আওতাধীন এলাকায় এধরনের অপকর্ম আর কেউ করতে পারবে না সে ধরনের নির্দেশনা থানা পুলিশ ও জেলা ট্রাফিক পুলিশ কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..