সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে (২১ বছর বয়সী তরুণী) ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক ফরিদ মিয়া (২৮)’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের কোনাউড়া নোয়াগাঁও গ্রামের চেরাগ আলীর পুত্র। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশ। আটকের পর নির্যাতনের শিকার হওয়া তরুণী বাদি হয়ে ফরিদ মিয়াকে আসামী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন । মামলা নং-৬, তাং- ০৭/০৯/২০১৯ইং।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পাষবিকতার শিকার হওয়া তরুনী অভিযুক্ত ফরিদ মিয়ার বাড়ির পার্শ¦বর্তী ছাতক উপজেলার বাসিন্দা এবং অসহায় ও গরীব পরিবারের মেয়ে। তার পিতা পঙ্গু থাকায় ২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি (ভিকটিম) লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ঘরে কাজকর্মে মা’কে সহযোগীতা করে আসছেন। সম্পর্কে ফরিদ মিয়া তার (ভিকটিম) খালাতো ভাই। আত্মীয়তার সুবাদে ফরিদ মিয়া তাদের (ভিকটিমের) বাড়িতে এবং তারা (ভিকটিমের পরিবার) ফরিদ মিয়ার বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করেন। প্রায় ৫ বছর পূর্বে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে তাকে প্রস্তাব করেন ফরিদ। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন ফরিদ। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে ফরিদ। কিন্ত সে (তরুণী) একজন অসহায় পঙ্গু’র মেয়ে হওয়ায় সরল বিশ্বাসে বিয়ের আশায় বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করতে সাহস পাননি। এমতাবস্থায় গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে তরুণীকে তার বাড়ি থেকে বেড়ানোর জন্য নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে ফরিদ। এরপর ওই দিন রাতে তাকে (ভিকটিম) আবারো ধর্ষণ করে ফরিদ। এসময় ভিকটিম তরুণী কান্নাকাটি করে চিৎকার করা চেষ্টা করলে তার মুখ চেপে ধরে ভয় ভিতি দেখায় ফরিদ। এরপর ভিকটিমের পরিবার বিচার প্রার্থী হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি আপোষ মিমাংসায় নিস্পত্তির চেষ্টা করেন। কিন্ত কোনাউড়া নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত বশই মিয়ার পুত্র (ফরিদের মামাতো ভাই) বাবুল মিয়ার তরুণীর ইজ্জতের মূল্য হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই প্রস্তাবে ভিকটিম ও তার পরিবার রাজি না হয়ে অভিযুক্ত ফরিদ মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি ) মো. শামীম মূসা বলেন- গ্রেফতারকৃত আসামীকে রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd