জৈন্তাপুরে স্বামীর মৎস খামার রক্ষায় সহায়তা চান ইয়াসমিন

প্রকাশিত: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯

কুচক্রী মহলের হাত থেকে স্বামীর প্রতিষ্ঠিত মৎস খামার রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগীতা চাইলেন স্যান্ডমার্ক এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার।সিলেটের জৈন্তাপুর চারিকাটার ভিত্রিখেল গ্রামে অবস্থিত তার এই ফার্মের দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে দুস্কৃতিকারীরা। এ কারণে শিশু সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি।

শনিবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আকস্মিক ভাবে আমার স্বামী সাবেক ব্যাংকার আব্দুস সাত্তার আকস্মিকভাবে মারা যান। জীবদ্দশায় তিনি ২০০৯ সালে স্যান্ডমার্ক এগ্রো মৎস খামার প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ২১ একর ভূমিতে করা ফার্মে স্বামীর সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগ করেন। কিন্তু স্বামী চাকুরিজীবী হওয়াতে সরাসরি সম্পৃক্ত না থেকে সহযোগীতা দিয়ে যান। ১৯৯৪ সনের কোম্পানী আইনে এই প্রকল্প নিবন্ধিত।  কিন্তু স্বামীর মৃত্যুতে আমি অবুঝ শিশু সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ি।  ৫ জন পরিচালক নিয়ে গঠিত কোম্পানী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সুনীল নাথ, এমডি ইয়াসমিন আক্তার নিজে, পরিচালক হিসেবে আছেন বিবেকানন্দ নাথ, রানা নাথ ও হালিমা আক্তার। সরকারি চাকরী জীবী হওয়ার কারণে তার স্বামী পরিচালক হতে পারেননি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১২ সালে সরকারি ইউএফ ফান্ডের এক কোটি ৮ লাখ টাকা লোন সেনশন হয়। এরমধ্যে ৮৬ লাখ টাকা তোলা হয়। উত্তোলিত টাকা মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। কোম্পানীর একটি সভার মাধ্যমে ২০১৩ সালের ৩০ আগস্ট বিগত দিনের সমস্ত হিসাব নিস্পত্তি হয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর ইয়াসমিন প্রজেক্ট পরিচালনার দায়িত্ব দেন চেয়ারম্যান সুনীল নাথ ও পরিচালক বিবেকানন্দ নাথের উপর।  ঋণগ্রস্থ হওয়ায় কোম্পানীকে এগিয়ে নিতে এলাকার জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে শর্ত সাপেক্ষে ৫ লাখ টাকা নিয়ে মাছ চাষ করি। অত:পর ৬ মাসের মধ্যে আনুসাঙ্গিক খরচ বাদে নিজেদের নিকট ৯ লাখ টাকা থাকে। কিন্তু ২০১৪ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি নিয়মমাফিক রেজুলেশন করে ফার্ম দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়ার পর সরলতার সুযোগ নিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাত করে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা সুনীল নাথ। তাদের নিকট হিসাব চাইলেও সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে বরং মেরে ফেলার হুমকী দেয়। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তারা ব্যবসার কোনা হিসাব দেয় নাই।  উপরন্তু ইইউএফ ফান্ডের টাকা রিকোভারির চিঠি আসলে তারা আমাকে ফাঁসাতে এককোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা দেয়। পরে ওই মামলা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়, বলেন ইয়াসমিন আক্তার। তারা তার ভাইকেও প্রাণে হত্যায় একাধিকবার হামলা চালায়।

ইয়াসমিনের অভিযোগ, এ বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তার ভাইকে মারধার করে ২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে দেওয়ার মামলায় সুনীল নাথ কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু কারাগারে থেকেও সন্ত্রাসী দ্বারা হত্যার হুমকী দিচ্ছে।

আইনীভাবে পরাজিত হয়ে তারা জোরপূর্বক ফার্মের দখল দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে তারা।  এ অবস্থায় বিধবা নারী হিসেবে নিরাপত্তাহীন রয়েছেন তিনি। দুস্কৃতিকারীদের হাত থেকে রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগীতা চান ইয়াসমিন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..