সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পর্যটকবান্ধব দৃষ্টিনন্দন সীমান্তনদী জাদুকাঁটায় চলছে পরিবেশ বিপন্ন করে অবৈধভাবে নদীর দুই তীর কেটে ও সেইভ মেশিনে বালুপাথর লুটের কর্মযজ্ঞ।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার মাণিগাঁও শিমুল বাগানের র্পুব দক্ষিণ থেকে জাদুকাঁটার নদীর বড়টেকের পাকা সড়কের সামনে, পাশে থাকা আর্দশ গ্রামের সরকারি পুকুর হয়ে গ্রামের ভেতরে, বড়ইবাগ অবধি নদীর তীর ও নদীর মধ্যখানে প্রতিদিন সকালে ১৫০ থেকে ২০০ পরিবেশ ধ্বংসকারী শেলো ইঞ্জিনচালিত সেইভ মেশিনে বালুপাথর অবৈধভাবে উত্তোলন করছে প্রভাবশালী কয়েকটি মহল।
তারা নদীর তীর কেটে বালু পাথর বিক্রি ও চাঁদাবাজির উৎসবে মেতেছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, দৃষ্টিনন্দন জাদুকাটা নদীর দু’তীর জুড়ে রয়েছে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু-পাথর সহস্রাধিক ডিপো। সেখানে বিন্নাকুলি বাজারের উত্তরদিক সংলগ্ন জাঙ্গালহাটির সামনে শতাধিক সেইভ মেশিনে বালুপাথর উত্তোলন হয়।
সীমান্ত এলাকার বিজিবি সদস্যদের এ বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত। অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুপাথর দেশের নানা প্রান্তে নৌ-পথে পরিবহন ও বিক্রয়কালে ইজারাদারকতৃক রয়্যালিটি আদায় করা হচ্ছে।
এছাড়াও তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির আওতাভুক্ত নৌ-পথে প্রশাসনসহ নামে বেনামে বিনা রশিদে ১ টাকা থেকে ৩ টাকা ঘনফুট হারে নৌ পরিবহনগুলো থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিয়মিত তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির নামেও বালু বোঝাই ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, বলগেট নৌকা থেকে প্রতি ঘনফুট বালুর জন্য পৃথকভাবে ১ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে নানামুখী অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি বিট অফিসার ও জাদুকাটা নদীর তদারকিতে থাকা এএসআই জহিরের বক্তব্য জানতে মঙ্গলবার রাতে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd