মোগলাবাজারে বিধবার উপর নির্যাতন : ওসমানীতে ভর্তি

প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৯

মোগলাবাজারে বিধবার উপর নির্যাতন : ওসমানীতে ভর্তি

দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার সিলামে ভাসুর ও দেবরের নির্যাতনে আহত অসহায় বিধবাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে বিধবা শিপা বেগমের পিতা ও ভাই তাকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালের নিচ তলায় ২৯নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
নির্যাতনের ঘটনায় ওইদিন রাতে নির্যাতিতা শিপা বেগম বাদী হয়ে মোগলাবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরে থানার এএসআই মো. জামাল হোসেন ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পান। তবে এখন পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ওসি আখতার হোসেন জানান- ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে ঘটনাটি স্থানীয় সালিশ বৈঠকে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে। স্থানীয়রা সালিশ বৈঠকে ব্যর্থ হলে মামলা রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোগলাবাজার থানার এএসআই মো. জামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে। ভিকটিম ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ছাড়পত্র নিয়ে আসলে মামলা রেকর্ড করা হবে।
বিধবা শিপা বেগম (৪০) সিলাম ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত জুনাব আলীর স্ত্রী। অভিযোগে আসামীরা হলেন- শিপা বেগমের ভাসুর আছকর আলী, দেবর সাজ্জাদ আলী ও ভাসুর পুত্র সামেল আহমদ।
জানা যায়- ৩ বছর পূর্বে শিপা বেগমের স্বামী জুনাব আলী মারা যান। এরপর অভাবের কারণে সন্তানদের জকিগঞ্জের ফুলতলী সাহেব বাড়িতে এতিমখানায় ভর্তি করে দেন শিপা বেগম। তিনি স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়ার কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছেন।
শেফা বেগম জানান- তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই ভাসুর আছকর আলী তাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি না হলে তাকে কুপ্রস্তাবও দেন আছকর আলী। এতে তিনি রাজি না হলে নানা অজুহাত দেখিয়ে আছকর আলী তার ভাই সাজ্জাদ আলী ও ছেলে সামেলকে নিয়ে শিপা বেগমকে স্বামীর রেখে যাওয়া ভিটে মাটি থেকে উৎখাত করতে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। দিন দিন ভাসুর ও দেবর মিলে নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। সর্বশেষ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৯টায় আছকর আলী, সাজ্জাদ আলী ও সামেল আহমদ মিলে তার বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে চুলের মুঠি ধরে পরনের কাপড় টানাহেচরা করে ছিড়ে ফেলে ও কিল ঘুষি মেরে পুরো শরীরে লীলাফুলা জখম করে। তাকে ঘর থেকে বের করে উঠান নিয়ে মারধর করে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2019
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..