সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০১৯
সুজিতের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ। অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরই মধ্যে কারাগারে কেটে যায় সুজিতের এক মাস। ঘটনার এক মাস ছয়দিন পর ওই ছাত্রীকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই এ ঘটনার রহস্য বের হয়।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় আশুজিয়া জেএনসি একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্রী দীপ্তি রানী নিখোঁজের এক মাস ছয়দিন পর বৃহস্পতিবার গাজীপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। দীপ্তি রানীকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান।
ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ভটেরগাতী পাড়া দুর্গাপুর গ্রামের শিরীষ বিশ্বশর্মার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী দীপ্তি রানী ১৬ জুলাই স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরদিন এ ব্যাপারে দীপ্তির বাবা থানায় অপহরণ মামলা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কেন্দুয়া থানা পুলিশ বুধবার (২১ আগস্ট) গভীর রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে দীপ্তি রানীকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে দীপ্তি রানী ফিরে এসে জানায়, কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সিংরাউন্দ গ্রামের মুসলিম পরিবারের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল হান্নানের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। হান্নান পেশায় রডমিস্ত্রি। তার সঙ্গে দুই বছরের প্রেমের টানে ওই দিন (১৬ জুলাই) আশুজিয়া থেকে আমি ঈশ্বরগঞ্জ চলে যাই। পরে আব্দুল হান্নানের সঙ্গে পালিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে চলে আসি। সেখানে বিয়ে হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছি আমরা। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে আমার নাম সানজিদা আক্তার রুনা। আমি বাবার কাছে যেতে চাই না, স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই।
দীপ্তি রানী নিখোঁজের পরদিন ১৭ জুলাই তার বাবা শিরীষ বিশ্বশর্মা বাদী হয়ে দীপ্তির এক সহপাঠী মনি বর্মণসহ তার দুই ভাই সুজিত বর্মণ ও প্রদীপ বর্মণকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলায় উপজেলার আশুজিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন বর্মণের ছেলে সুজিত বর্মণকে (২৫) গ্রেফতার করে ১৯ জুলাই আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। এক মাস চারদিন ধরে জেলহাজতে সুজিত।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd