সিলেট ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৯
ভৈরব রেলস্টেশনে বিরতির সময় দুর্ঘটনা ঘটালো ঢাকা-চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি দুপুর ৩টা ২৩ মিনিটে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে বিরতি দেয় এবং দুই মিনিট বিরতির পর ট্রেনটি ৩টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। এত কম সময়ের মধ্য তাড়াহুড়া করে ট্রেনে উঠতে গিয়ে জানু বেগম (৩৫) নামে এক নারী যাত্রী ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত জানু বেগম কিশোরগঞ্জের মিটামইন থানার আমানপুর গ্রামের মইজউদ্দিনের স্ত্রী। তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ।
এছাড়াও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটির দুই মিনিটের বিরতিতে আজ প্রায় অর্ধশত যাত্রী টিকিট কেটেও ট্রেনে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নামতেও পারেননি।
জসীম মিয়া নামে এক যাত্রীর অভিযোগ, আজ তার পরিবারসহ ফেনী যাওয়ার কথা ছিল। তিনি তিনটি টিকিটও কিনেন। কিন্ত ট্রেনে উঠতে না পেরে যেতে পারেননি।
আমেনা বেগম নামে এক নারী যাত্রীও একই অভিযোগ করেছেন। ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ওই নারীর এক আত্মীয় মো. আজাদ মিয়া বলেন, ট্রেনটি থামল আর ছেড়ে দিল। তাড়াহুড়া করে আমার বন্ধুর মা ট্রেনে উঠতে গিয়ে ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে নিহত হয়েছেন। আজ আমিসহ অসংখ্য যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনি।
ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের কেবিন মাস্টার মাহবুব হোসেন জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে ৩টা ২৩ মিনিটে বিরতি দিয়ে ৩টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যায়।
এতো কম সময়ের বিরতিতে যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমার দেখার বিষয় নয়। ভৈরবে দুই মিনিট বিরতির সিডিউল দেয়া আছে তাই নির্ধারিত সময় আমাকে ট্রেন ছাড়ার সিগনাল দিতেই হবে।
ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. কামরুজ্জামান জানান, ভৈরবে বিরতির সময় দুই মিনিট। তবে ট্রেনের গার্ড যাত্রীর ভিড় দেখার পর ট্রেন ছাড়ার সিগনাল কিছুটা পরে দিতে পারতেন। তিনি কেন সিগনাল পরে দিলেন না সেটা তার বিষয়। ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে আজ প্রায় অর্ধশত যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে তিনি স্বীকার করেন।
নারী যাত্রী নিহতের ঘটনায় তিনি বলেন, তাড়াহুড়া না করলে ওই নারীর মৃত্যু হতো না।
ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরবে মাত্র দুই মিনিট বিরতি দেয়। অথচ এই রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০০/২০০ যাত্রী ট্রেনে ওঠানামা করে। দুই মিনিট সময়ে এত যাত্রী ওঠানামা করা সম্ভব নয়। আজকের দুর্ঘটনাটি কম বিরতির কারণেই ঘটেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd