সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০১৯
দক্ষিণ সুরমায় থেমে নেই ইন্টারনেট ভিত্তিক তীর জুয়া ও টিকিটিকি নামক জুয়া। লাগামহীন প্রচার ও প্রসারে আবারো সর্বত্র আলোচনায় দক্ষিণ সুরমা। অলি-গলি ছাড়িয়ে এবার দক্ষিণ সুরমার জিঞ্জিরশাহ মাজারের পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বসেছে তীর জুয়া ও টিকিটিকি নামক জুয়ার বোর্ড। জুয়ার এই বোর্ডের কারনে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ শ্রমিকরাও হাড়াচ্ছে সর্বস্য। এদিকে পুলিশ বলছে জুয়া এবং মাদকের বিরুদ্ধে এসএমপি জিরো টলারেন্সে সবসময়।
জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমার রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেষে পসরা সাজিয়ে বসেছে এসব জুয়ার বোর্ড। বেপরোয়াভাবে জুয়াড়িদের মদদ দিচ্ছেন কিছু অসাদু পুলিশ, হলুদ সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদরা। এদের ছত্রছায়ার কারণে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছেনা এই জুয়ার বোর্ডগুলি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেষে রয়েছে একটি চায়ের দোকান। দোকানের মালিক মিন্টু মিয়া। তিনি জুয়া খেলার অপরাধে দীর্ঘদিন কারাভোগও করেছেন। কিন্তু দোকানের ভেতরে ঢুকলেই অন্য জগৎ। টিভিতে চলছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট, টেবিলে বসা লোকজন প্রতি ওভারে প্রতি বলে ধরছেন বাজি।
এই দোকানের পেছনকার দৃশ্য আরো ভয়ানক। চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে আছে দুই যুবক, কাটছে তীর জুয়ার নাম্বার। দোকানটির ঠিক উল্টোপাশে রয়েছে মস্তকিন নামে আরেক জনের চায়ের দোকান। সেখানকার অবস্থাও ঠিক এক।
জানা গেছে, জাহেদ আহমদ নামের একজন লোক এই সবক’টি বোর্ড দেখাশুনা করেন। জাহেদের সাথে জড়িত রয়েছে এলাকার প্রাভাবশালীরাও। দিলোয়ার, মিন্টু, ফরিদ, মস্তকিন, ইব্রাহীমসহ এই বোর্ডে রয়েছে আরো অনেকই জাহেদের পার্টনার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার এক ট্র্যাংক লরী চালক বলেন, আপনি আমার নাম দিলে দিতে পারেন কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি পারেন তাহলে এই জুয়া খেলার বোর্ডগুলি বন্ধ করান। কারন এই বোর্ড গুলির কারনে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ আমাদের মতো শ্রমিকরা সর্বস্য হারিয়ে অনেকেই আজ নি:স্ব।
তিনি জানান, এই বোডগুলির পাশে যেমন রয়েছে বিদ্যালয় তেমনি রয়েছে পদ্মা ও যমুনা ডিপু। জুয়াড়িদের মূল লক্ষই এসব প্রতিষ্ঠান। আমাদের শ্রমিকদের পাশাপাশি এখানে জুয়ার বাজি ধরতে আসে রিকসা-ভ্যান চালক, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও কলোনিতে বসবাসরত নারীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। প্রতিদিনই এখানে সিএজি চালিত অটোরিক্সা করে পুলিশ আসে জাহেদের সাথে দেখা করতে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা বলেন- রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেষে জুয়ার বোর্ড বসেছে এটা আমাদের জানা ছিলো না।
তিনি বলেন, জুয়া এবং মাদকের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময় জিরো টলারেন্সে থাকবে। আমরা যেখানেই জুয়া এবং মাদকের খবর পাচ্ছি সেখানেই অভিযান চালাচ্ছি। আর এসবের সাথে যদি আমাদের পুলিশের কোন সদস্য জড়িত থাকে তাহলে তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd