সিলেট ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০১৯
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সরকারী ভাবে নদী থেকে উত্তোলনকতৃ বালি দিয়ে বরাটকৃত নীচু জায়গার বালি আবার বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বালু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে ঐ বালুখেখু চক্র। আর সরকারী ভাবে বিনা মূল্যে নীচু জায়গা,গর্ত ভরাট করার কথা থাকলেও টাকা ছাড়া কোন জায়গায় ভরাট করছে না সরকারী ড্রেজারে দায়িত্বপ্রাপ্ত্য রাজুসহ তার সহযোগীরা। টাকা দিয়েই ভরাট হচ্ছে আর সেই ভরাটকৃত জায়গার বালি টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে সর্বত্রই। যারা বালি কিনে জায়গা ভরাট করেছে তারাই বলছে এমন কথা। এনিয়ে এলাকা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,উপজেলার বৌলাই নদীতে খনন কাজে নিয়োজিত সরকারী ড্রেজার। ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলন করে কৌশলে বালুখেকু চক্ররা দীর্ঘ দিন ধরেই উপজেলার দক্ষিনকুল,হোসেনপুর,সীমানা,মাহতাবপুর,পিরুজপুর গ্রামের নীচু ও খালি জায়গা বালি ভড়াট করেছে টাকার বিনিময়ে। আর জায়গা ভরাট করার কথা বলে বালু মজুদ করছে কৌশলে। পরে ভরাটকৃত জায়গা থেকে সেই বালু ড্রেজার দিয়ে ষ্টিলবর্ডি ও ভরগেইট নৌকায় তুলে অন্যত্র পাঠিয়ে দিচ্ছে বিক্রির জন্য। এমন সংবাদ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক সরজমিন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হুমকি প্রদর্শন করে ঐসংঘবদ্ধ চক্ররা।
শনিবার সরজমিনে দেখাযায়,উপজেলার মাহতাবপুর,দক্ষিনকুল,হোসেনপুর,সীমানা,মাহতাবপুর,পিরুজপুর গ্রামের বাড়ির আশে পাশের গর্ত ও খালি জায়গা গুলো সম্প্রতি সরকারী ড্রেজারে ভরাট করা হয়। মাহতাবপুর গ্রামের কবর স্থানের পাশে,সুনামগঞ্জ জেলার সহকারী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল শহীদ ও সাইদুল ইসলামসহ আর কয়েক জনের বাড়ির গর্তগুলো ড্রেজারে ভরাট করে উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আজাদ ও উত্তম। সেই ভরাটকৃত জায়গা থেকে কয়েক দিন ধরেই দিন-রাত নিজের ব্যক্তিগত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে ষ্টিলবডি ও বলগেইট নৌকায় বালি তুলে নিয়ে অন্যত্রে বিক্রি করছে আজাদ ও উত্তম। ফলে ভরাটকৃত জায়গা আবার গর্তে পরিনত হচ্ছে। আর এভাবেই এই বালু খেখু চক্র অবৈধ ভাবে বালু বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান,গরীব,অসহায়,হতদরিদ্র পরিবারের গর্ত স্থান সরকার ভরাট করে দিলেও সেই গর্তের বালি বিক্রি করছে প্রভাবশালী দুই ভাই মিলে। তাদের বিরোদ্ধে কিছু বলার মত সাহস পায় না কেউ। এছাড়াও রয়েছে তাদের একটি শক্তিশালী গ্রæপ।
ওই জায়গার মালিকদের মধ্যে এক জনকে কিছু টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে আশ^াস দেয় অন্যদিকের জায়গা ভরাট করে দিবে। কিন্তু কবে দিবে কি ভাবে দিবে বুজতে পারছে না। কিছু বলার সাহস ও পাচ্ছে না। আর অন্য দুই পরিবার সুনামগঞ্জ চলে যাওয়ায় ভরাট কৃত জায়গা থেকে বালি বিক্রি করছে তা জানতে পারে নি। জানারপর তারাও ক্ষোব প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তম ও আজাদ জানান,আমি আমার জায়গায় সরকারী বালি ড্রেজারে স্টকে রাখছি প্রশাসনের লোকও জানে। টাকা দিয়ে মাল(বালু)কিনেছি। স্টক রাখছি এমনি এমনি রাখা নি বিক্রি করার অধিকার আমার আছে।
নদী সরকারী ড্রেজার কাজে নিয়োজিত ও দায়িত্বপ্রাপ্ত্য রাজু বালু বিক্রির বিষয়ে বলেন,আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আসিফ ইমতিয়াজের সরকারী মোবাইল ফোন বন্ধ থাকার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd