সিকৃবিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম

প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০১৯

সিকৃবিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) ‘রেজিঃ/সংস্থাপন-২/নিয়োগ-১১৫(১)/১২১/১৮/১৩৩০’ স্মারক নং সম্বলিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। শুণ্য পদে নিয়োগের জন্য সবার প্রতি দরখাস্তও আহবান করা হয়।

যেখানে অধ্যাপক (বেতন : ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০) ১জন, প্রভাষক (২২,০০০-৫৩,০৬০) ২৪জন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (১৬,০০০-৩৮,৬৪০) ৭জন, এস্টিমেটর (১৬,০০০-৩৮,৬৪০) ১জন এই ৪টি পদে গত বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদনকারীদের দরখাস্ত প্রেরণের জন্য বলা হয়। কিন্তু ৩১ জুলাই শেষ হওয়ার আগেই একটি সিন্ডিকেট চক্র নিয়মবহির্ভূত লোকদের ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তার মধ্যে অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হচ্ছে ৩০ বছর।

এখন পর্যন্ত আবেদনকারীদের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ভাইভাবোর্ড যে ৭জনকে বাছাই করেছে তন্মধ্যে ৪জনেরই বয়স ত্রিশোর্ধ্ব। একটি সিন্ডিকেট মহল জোরপূর্বক তাদেরকে ওই পদে নিয়োগ প্রদান করতে চাচ্ছে। ওই চারজনের মধ্যে তিনজনের নাম হচ্ছে গিয়াস উদ্দিন, বিপুল দাস, শামীম মোল্লা এবং ১জন অজ্ঞাত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আবেদনকারী সূত্র জানায়, ১৮ সালের অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখে আবেদনকারীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । ঐ ভাইবা পরিক্ষায় আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ নির্ধারণ করা হলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে যে ৭জনকে ভাইভাবোর্ড বাছাই করেছে সেই তালিকায় ওই ৪জনেরও নাম রয়েছে। কিন্তু ভিসি মহোদয় এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

কিন্তু নিয়োগপত্র ইস্যু করার সময় ভিসি মহোদয় যখন জানতে পারলেন মনোনীতদের মধ্যে ৪জনের বয়স ৩০ বছরের বেশি যা সম্পূর্ণ নিমবহির্ভূত তখন তিনি ওই ৪জনের নিয়োগপত্র আটকে দেন। কিন্তু একটি সিন্ডিকেট মহল ওই ৪জনকে জোরপূর্বক নিয়োগ দেওয়ার জন্য এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এসব বিষয়ে জানতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার ও রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েবকে বার বার ফোন দেয়া হলে রিসিভ করেননি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..