সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০১৯
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রোগ্রামের পেইড পিয়ার ভলান্টিয়ার নিয়োগে নিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ।
নিয়োগ প্রাপ্তরা তাদের নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে এই অপপ্রচারের জবাব দিলেন। এমনকি তাদের দাবি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রোগ্রামের পেইড পিয়ার ভলান্টিয়ার নিয়োগে কোন অনিয়ম দূর্নীতি হয়নি। তারা বলেন এক শ্রেণীর লোকের অবৈধ সুবিধা না হওয়ায় তারা এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার পশ্চিম জাফলংয়ের পতাপপুর গ্রামের রাম নাথের মেয়ে জবা রানী নাথ তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোষ্টে উল্লেখ করেন, আমি জবা রানী নাথ, যারা আমাকে বহিরাগত বলছেন তাদের বলছি, কেন দুর্নীতি দুর্নীতি বলে অযথা চিৎকার করছেন। একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া আর কীভাবে সম্পন্ন করা যায়। আমাকে যারা বহিরাগত বলে গলা ফাটাচ্ছেন তারা দেখে নিন আমার আইডি কার্ড, জন্মনিবন্ধন কার্ড।আমি জন্মসূত্রে এবং ভোটার হিসেবে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী কোন এলাকার বাসিন্দা ।আমি ভোট দেব এখানে, নাগরিকত্ব এখানে। আমি কি এর বাহিরে চাকরি নিতে পারবো, অন্য জায়গায় কেউ আমাকে সনদ গুলো দেখে দিবে কোন চাকরী। আমি আমার যোগ্যতা দিয়ে চাকরি পাইছি,ঘুষ দিয়ে নয়।অথচ যারা ঘুষখোর তারাই আজ প্রার্থীর টাকা খেয়ে হজম করতে পারছে না বলেই একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বানচাল করছে। এতোটুকু আত্মসম্মান থাকলে একটি সত্য জিনিসকে মিথ্যা বানানোর চেষ্টা করে নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। ভবিষ্যতে আরো নিয়োগ বাস্তবায়ন হবে সেখেনেও না হয় অযোগ্য হয়েই থাকবে।সত্য জিনিসটাকে আর মিথ্যা বানানোর চেষ্টা করবেন না।
এদিকে, উপজেলার ইউনিয়ন তোয়াকুল ইউনিয়নের জাঙ্গাইল গ্রামের সাহেল আহমদ রাজু স্ত্রী হাসনা বেগম তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোষ্টে উল্লেখ করেন, আমার নাম হাসনা বেগম।স্বামী সালেহ আহমদ রাজু। ডাকনাম(সাহেল আহমদ রাজু)। গ্রাম জাঙ্গাইল (মাঝপাড়া)। ইউনিয়ন তোয়াকুল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই চাকরিটা সরকারী নয়।হবে ও না। এটা ৪-৫বছর কাজ করবে মাঠে। তার পর শেষ।তার পরও মানুষের এত গাটাগাটি করতেছে। হায়রে মানুষ।এত হিংসুটে। আমার যোগ্যতায় আমি চাকরি পাইছি। আমি কাওকে গুষ ও দেইনি। ফাজিল লোক বলছে আমি নাকি বুওয়া। আমার বাড়ি তদন্ত করে ইউনিয়নের কয়েকজন গন্যমান্য কিছু লোক। তারা আমার আইডিকাড দেখে, আমার স্বামীর ও আইডি কাড দেখে তার পর বিশ্বাস করে।তার পরে ও সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে বলে আমি বুওয়া। আমার যে মানসম্মান হানি করল এর দায়বার কে নিবে।ওরা কেমন মানুষ, অন্যের সমালোচনা করে বেড়ায়।আমরা কোন সমাজে বসবাস করতেছি।ছি ছি ছি। আমার স্বামীকে মোটামুটি সবাই চিনে। আমি নাকি ভুয়া ওইগ্রামের মানুষগুলো বলতেছে কেও নাকি চিনেই না।আরও মন্তব্য করেছেন উপজেলার খুবি গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে নিয়ে, যা টিক না।যারা এমন কু মন্তব্য করেছেন তাদেরকে বলছি,”ভাল হন, মানুষের উপকার করেন,ভাল কিছু করে দেখান,সমাজকে সুন্দর করেন। ভাল হতে টাকা লাগে না।
গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ তার নিজ ফেইবুক আইডিতে একটি পোষ্টে বলেন, আমি সহসাই দেশে আসছি এবং মিথ্যাবাদী গুলোর সকল অভিযোগের সময়োচিত জবাব দিব ইনশাল্লাহ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd