সিলেট ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০১৯
মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় রাতের আঁধারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা ও মেয়েসহ তিনজনকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
গত তিন দিন ধরে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুসহ ওই পরিবারটি। সন্ত্রাসীদের ভয়ে থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না পরিবারটি। যদিও খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে।
উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম পোয়া গ্রামে গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, পশ্চিম পোঁয়া গ্রামের মুকবুল আহাম্মেদের মেয়ে আলিম পরীক্ষার্থী সাথী আক্তারকে (১৭) পার্শ্ববর্তী সুলতান আহম্মেদের ছেলে ওয়াসিম বেশ কিছুদিন ধরে উত্যক্ত করত। ঘটনাটি সাথী তার পরিবারকে জানালেও ভয়ে তারা কাউকে কিছু বলেননি।
সাথীর মা সাহিদা বেগম জানান, বখাটে ওয়াসিম বেশ কয়েকবার সাথীকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বিষয়টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জানানো হয়। এরই মধ্যে কয়েকদিন পূর্বে সাথীর জন্য অন্যস্থান থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে। কিন্তু তারা এই মুহূর্তে বিয়ে দেবেন না বলে তাদের বিদায় করেন।
এদিকে সাথীর বিয়ের প্রস্তাব আসার সংবাদ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বখাটে ওয়াসিম। সে ও তার সঙ্গীরা গত রোববার রাতে সাথীর ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে তাদেরকে।
হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে মেয়ে সাথীকে কুপিয়ে আহত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার ওপর এমনকি তিন বছরের শিশু আয়েশা আক্তারকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রাতেই তাদেরকে স্থানীয় লোকজন ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় বলে জানান সাহিদা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, হামলাকারীরা শিশুসহ তিনজনকে মারাত্মকভাবে কুপিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, শিশুসহ তিনজনকে মারাত্মক আহত অবস্থায় নিয়ে আসে লোকজন। মুমূর্ষু অবস্থা থেকে বর্তমানে তারা কিছুটা উন্নতির দিকে।
সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, স্থান সংকটের কারণে আহত মা-মেয়ে তিনজন একই বেডে অবস্থান করছেন। তারা এখনও ওই সন্ত্রাসীর ভয়ে আতঙ্কিত। তাদের চোখ মুখে এখনও অতঙ্কের চাপ দেখা গেছে।
সাথীর বাবা মুকবুল আহাম্মদ জানান, মামলা করলে আবারও হামলা করবে এই হুমকির আতঙ্কে তারা মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন।
এদিকে খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই সুমন্ত ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে যান। তিনি জানান, আহত ও তার পরিবারকে থানায় অভিযোগ করার জন্য বলেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd