সিলেট ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০১৯
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় গত তিন দিনের টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট আর্কস্মীক বন্যায় উপজেলার সীমান্তঘেষা ইউনিয়ন নিজপাট, জৈন্তাপুর ও চারিকাটা ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত। সারী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বিপদ সীমার .৪৭ সেন্টি মিটার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ঘন্টায় উপজেলায় ৫৬মিলিমিটার বৃষ্টি মাত্রা নির্নয় করা হয়েছে।
আর্কস্মীক পাহাড়ী ঢলের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলের গ্রামীন পথ স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ এবং বীজতলা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রাস্থের স্বীকার হয়েছে নি¤œ আয়ের দিনমজুর ও শ্রমিক পরিবার গুলো গ্রামের দরিদ্র পরিবার গুলো বসত বিটা কাচা থাকায় বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নি¤œ আয়ের মানুষেরা আর্কস্মীক বন্যায় বাড়ী-ঘর তলিয়ে যাওয়ায় কারনে তাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে গ্রামীন রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এতে পানির মধ্যে আটকে পড়া হাওর অঞ্চলের পরিবার গুলো বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। (বিকাল ৫টা) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সীমান্তবর্তী ৩টি ইউনিয়নের বন্যায় আটকে পড়া পরিবার গুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বা বিশুদ্ধ পানির কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি উপজেলা প্রশাসন। অপরদিকে বন্যায় আটকে পড়া পরিবারের লোকজন নিজ উদ্যোগে নৌকা অথবা বেলায় করে বিশুদ্ধ পানির জন্য উচু জায়গায় দিকে ছুটে আসতে দেখা যায়। এদিকে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও পরিবার গুলোর খোঁজ খবর নিতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন জনপ্রতিনিধিগন এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। সরেজমিনে বন্যা কবলিত এলাকা উপজেলা নিজপাট ইউনিয়নের মেঘলী, বন্দরহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, মজুমদারপাড়া, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, তিলকৈপাড়া, বড়খেল, ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, হেলিরাই। জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মুক্তাপুর, বিরাইমারা, বিরাইমারা হাওর, লামনীগ্রাম, কাটাখাল, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১নং লক্ষীপুর, ২নং লক্ষীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, নলজুরী হাওর। চারিকাটা ইউনিয়নের বালিদাঁড়া, লালাখাল, রামপ্রসাদ, থুবাং, বাউরভাগ উত্তর, বাউরভাগ দক্ষিণ, পুঞ্জী সহ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে সারীনদী, বড়গাং নদী এবং নয়া গাং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সারী নদীর পানি বিপদসীমার .৪৭ সেন্টিমিটার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান সারী-গোয়াইন বেড়ীবাঁধ প্রকল্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ আলা উদ্দিন। তিনি আরও বলেন বৃষ্টি থামলে পানি নিচের দিকে প্রবাহিত হবে। বন্যার খবর জানতে জৈন্তাপুর পানি উন্নয়ন অফিসে গেলে কাউকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ফারুক হোসেন জানান- গত ২৪ ঘন্টায় জৈন্তাপুর উপজেলা সদর ও এর আশ-পাশে বৃষ্টির পরিমান ৫৬মিলিমিটার বৃষ্টি মাত্রা নির্নয় করা হয়েছে এ সময় উপজেলার নি¤œাঞ্চলের কৃষকের হালিতলা পানির নিচে থলিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি নির্নয় করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার পাল (অঃদাঃ) প্রতিবেদককে জনান- বৃষ্টি পাতে উপজেলার সারী নদী সহ সবকটি নদীর পানী বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনটি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে থলিয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি নির্নয় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির কোন তালিকা আছেনি। ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়াতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd