সিলেট ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০১৯
রিফাত হত্যাকাণ্ড যারা দাঁড়িয়ে দেখছে বলে সবাই তাদের সমালোচনা করছে। এদেরকে অনেকে সাধারণ জনতা মনে করলেও রিফাতের স্ত্রী শনাক্ত করেছেন, এরাই প্রথম তাদের আটকায় ও মারধর করে। এরাও কিলিং মিশনের সদস্য। সাধারণ পাবলিক কখনো এতো ঠাণ্ডা মাথায়, এতো কাছে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবে এই নির্মমতা দেখতো না। প্রতিবাদ বা প্রতিহত না করুক, তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকতো, হয়তো ভয়ে দৌড় দিয়ে সরে যেতো। কিন্তু ভালো করে খেয়াল করলেই বোঝা যায়, এরা নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছে।
সচরাচর হিট এন্ড রান হইলে এরা মেরেই পালিয়ে যাইতো, কিন্তু এইটা গ্রুপ কিলিং মিশন ছিল, সাথে এদের কাজ ছিল ভায়েবল প্রটেকশন দেয়া। পুরো ভিডিওটা কয়েকবার দেখে অ্যানালাইসিস করতে পারেন। যারা দাঁড়িয়ে আছে তারা সবাই মোটামুটি সমবয়সী।
এই হত্যকাণ্ডের কারণ মোটামুটি এখন স্পষ্ট। মিন্নির সম্পর্ক ছিল রিফাতের হত্যাকারী নয়ন বন্ডের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, মিন্নি এবং নয়ন বন্ডের বিয়ে হয়েছিল বলেও অনেকে বলছে। সেই বিয়ের পর মিন্নি শরীফের দ্বিতীয় বিয়ে হয় রিফাতের সাথে। বিয়ের পরও নয়ন বন্ডের সাথে সম্পর্ক রেখেছিল মিন্নি শরীফ, যেটা মিন্নির ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ছবি থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে যাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যারা হত্যা করেছে তারা সবাই বন্ধু। মানে রিফাত, শরীফ, নয়ন বন্ড, মিন্নি এরা সবাই বন্ধু। কেন বন্ধুকে বন্ধু এরকম নির্মমভাবে হত্যা করবে? মিন্নি ও নয়ন বন্ডের ফেসবুকের কিছু স্কিনশর্ট প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমে। যা থেকে আসলে অনেক কিছুই প্রকাশ পায়। এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এর গভীরতা নিশ্চয়ই খুঁজে পাবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd