দম্পত্তির কাছে সাংবাদিক পরিচয়ধারী বাবুর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

প্রকাশিত: ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৭, ২০১৯

দম্পত্তির কাছে সাংবাদিক পরিচয়ধারী বাবুর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

বেনাপোলে নয়ন নামের এক সাংবাদিক পরিচয়ধারী আমাদের বিভিন্ন সমস্যা করতেন। সমস্যা থেকে বাঁচতে এলাকার নুরুজ্জামানের পরামর্শে আমরা মোবাইল বাবুর কাছে যাই। বাবু আমার স্বামী রুবেলকে একটি পত্রিকার কার্ড করে দেন। যার খরচ বাবদ ৮০ হাজার টাকা ও ধার হিসেবে ২০ হাজার টাকা নেন।

রোববার যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বেনাপোলের তালশারী গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী সুখমনি। এ সময় তার স্বামী ভুক্তভোগী রুবেল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোবাইল বাবু ভবারবেড় গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তিনি বন্দর প্রেসক্লাব বেনাপোলের সহ-অর্থ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন বলে জানা যায়।

লিখিত বক্তব্যে সুখমনি বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ধারী মোবাইল বাবু এখন আমাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাসায় হেরোইন রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।

তিনি জানান, তার স্বামী রুবেল হোসেন শ্বশুরবাড়ি বেনাপোলে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরুর প্রাক্কালে বেনাপোলের কথিত একাধিক সাংবাদিক বিভিন্নভাবে এ দম্পতিকে হয়রানি করা শুরু করে। এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ওরফে মোবাইল বাবু নিজেকে দৈনিক ভোরের কাগজের সাংবাদিক পরিচয়ে এ দম্পতিকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য টাকার বিনিময়ে রুবেল হোসেনকেও একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক কার্ড প্রদান করেন এবং নিশ্চয়তা দেন যে তাকে আর কেউ হয়রানি করতে সাহস পাবে না।

এ ঘটনায় সুখমনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বেনাপোলের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বেগী সেলিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তার স্ত্রী আছমা এখন এই মোবাইল বাবুর দ্বিতীয় স্ত্রী। আছমা নিজেও একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে বিপুল ভারতীয় চোরাই মোবাইলসহ যশোর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মোবাইল বাবু।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..