মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ সিলেটে ট্রেনের টিকিট এখন সোনার হরিণ

প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০১৯

মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ সিলেটে ট্রেনের টিকিট এখন সোনার হরিণ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শাহবাজপুর সেতু মেরামতের কাজ চলায় ঢাকার সঙ্গে সিলেটের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ কয়েকদিন থেকে বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে ট্রেন। আর সেই ট্রেনের টিকিট এখন সোনার হরিণ। ঘন্টার পর ঘন্টায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও কাউন্টারে মিলেছে না কাঙ্ক্ষিত টিকিট। অথচ উচ্চমূল্যে চাহিদামত টিকিট পাওয়া যাচ্ছে কালোবাজারে।

স্টেশন সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট রেলপথে নিয়মিত চলাচল করছে দিনে ৪টি ট্রেন। তার মধ্যে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কালনী এক্সপ্রেস, ৮ টা ২০ মিনিটে জৈন্তিকা এক্সপ্রেস, বিকাল ৩টায় পারাবত এক্সপ্রেস ও রাত ১০টায় উপবন এক্সপ্রেস। সড়কপথের যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ওইসব ট্রেনে অতিরিক্ত বগিও সংযোজন করা হয়েছে।

তারপরেও টিকিটের হাহাকার লেগেই রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলেট রেলস্টেশনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ অনেক পুরনো। এপ্রিলে ১০৭ টিকেটসহ কালোবাজারি আলমগীরকে চট্রগ্রামের পুলিশ আটক করে। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কালোবাজারিদের আটক করে সাজা প্রদান করার পরও থেমে নেই তাদের দৌরাত্ম্য। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর ওপর থাকা জরাজীর্ণ সেতু মেরামতের জন্য বন্ধ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কালোবাজারিরা বর্তামানে বেশি বেপরোয়া।

শনিবার (২২ জুন) ঢাকাগামী এক যাত্রী কয়েক ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে তিনি উপবন এক্সপ্রেসের টিকিট দ্বিগুণ দামে কিনেন। তার কেনা টিকিটের ছবি ওই প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যাত্রী বলেন, কালোবাজারিরা রেলস্টেশনে প্রকাশ্যে দুই-তিনগুন বেশি দামে বিক্রি করছে ট্রেনের টিকিট। অথচ কাউন্টারে গেলে বলা হয় টিকিট শেষ হয়ে গেছে। কাউন্টারে আদৌ টিকিট ছাঁড়া হয় বলে মনে হয় না। রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন থেকে বড় একটি সিন্ডিকেট টিকিট নিয়ন্ত্রণ করে কালোবাজারে ব্যবসা করছে। আর তার প্রধান হোতা কম্পিউটার অপারেটর জহির। তার সহযোগী নিজাম। তাদের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারে যায় বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। দেড়যুগের বেশি সময় ধরে সিলেট রেলস্টেশনে কর্মরত থাকায় উপর মহলকে ম্যানেজ করে চলায় সরকারি কর্মকর্তা না হয়েও ধাপটে চলছে তার রাজত্ব।

সরকারি কোনো কর্মকর্তা তার সাথে সামঞ্জস্য করে না চললে সে তাকে অন্যত্র বদলি করার ক্ষমতা রাখে। সে বেসরকারি সংস্থা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম (সিএনএইচ) এর কম্পিউটার অপারেটর। তাকে অন্যত্র বদলি করলে রেলস্টেশনের টিকিট কালোবাজারিদের সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে। আর তখন সহজে কাউন্টারে সরকার নির্ধারিত মূল্যে টিকিট পাওয়া যাবে বলে একাধিক সূত্র দাবী করেছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..